Powered by Blogger.

পেটের চর্বি কমানোর ৫ টি ব্যায়াম

liposuction
পেটের চর্বি কমানোর ৫ টি ব্যায়াম

১) চিত হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন, হাত দুটো শরীর বরাবর পাশে মাটিতে থাকবে, হাটু দুটো ভাজ করে পিরামিড আকৃতিতে দাড় করিয়ে রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে আপনার থুতনি বুকের সাথে লাগান। এবার মাথা, ঘাড় ও কাধ মাটি থেকে আলগা করুন এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে শরীরের দুই পাশে রাখা হাত দুটো ভাজ করে দাড় করিয়ে রাখা হাটুর দিকে আস্তে আস্তে আগাতে থাকুন। যতটুকু পাড়েন এগিয়ে এক সেকেন্ড বিরতি নিন। এবার শ্বাস নিতে নিতে আবার আগের পজিশনে শুয়ে পড়ুন। শুয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। এভাবে একই ব্যায়াম ৮ বার করুন।
২) চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে, পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৩) চিত হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন, হাত দুটো শরীর বরাবর পাশে মাটিতে থাকবে, পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। এবার দুটো পা একসঙ্গে উপরে উঠান, যাতে পায়ের তলা ছাদ বরাবর থাকে এবং পেট ভরে শ্বাস নিন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নিতম্ব বা পশ্চাতদেশ মাটি থেকে উপরে উঠান। আবার শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব বা পশ্চাতদেশ মাটিতে নামান। আবার প্রথম থেকে শুরু করুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৪) চিত হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন, হাত দুটো শরীর বরাবর পাশে মাটিতে থাকবে, পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। এবার দুটো পা একসঙ্গে উপরে উঠান, যাতে পায়ের তলা ছাদ বরাবর থাকে। এবার ডান পা উপরে উঠানো অবস্থাতেই রেখে বাম পা টা নামাতে থাকুন। কিন্তু পুরোপুরি মাটিতে না নামিয়ে মাটি থেকে ৬ ইঞ্চি উপরে এসে পা টা শুণ্যে স্থির রাখুন। এবার মাথা এবং ঘাড় মাটি থেকে অল্প তুলে শরীরের পাশে রাখা দুই হাত দিয়ে সোজা উপরে তুলে রাখা ডান পা টাকে উরুর অংশে চেপে ধরুন, এবং নিজের দিকে অল্প টানুন। এরপর ডান পা কে নামিয়ে মাটি থেকে ৬ ইঞ্চি শুণ্যে রেখে বা পা উঠিয়ে একই কাজ করুন। কোন বিরতি না দিয়ে তারাতারি করে এভাবে ১০ বার ব্যায়াম টা করে ফেলুন।
৫) চিত হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন, হাত দুটো শরীর বরাবর পাশে মাটিতে থাকবে, পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। এবার দুটো পা একসঙ্গে উপরে উঠান, যাতে পায়ের তলা ছাদ বরাবর থাকে এবং পেট ভরে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটো আবার একসঙ্গে নামাতে থাকুন। কিন্তু পুরোপুরি মাটিতে না নামিয়ে মাটি থেকে ৪ ইঞ্চি উপরে এসে পা টা শুণ্যে স্থির রাখুন। থামুন এবং শ্বাস নিন, এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার পা উপরে উঠান। এভাবে ১০ বার করুন।

ভালো ঘুম দেওয়ার নিয়ম


ভালো ঘুম দেওয়ার নিয়ম

রাতের একটি ভালো ঘুম একজন ব্যক্তিকে তার দৈনন্দিন কাজ এবং পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে তার সকল প্রচেষ্টাকে ভালোভাবে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকবে। প্রায় সকল গবেষণায় দেখা যায় যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি রাতে গড়ে সাত থেকে নয় ঘণ্টা বিরতিহীন ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও তা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। আপনি যদি ভালো ঘুম চান তবে নিম্নের পাঁচটি টিপসের সাহায্য নিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।

১. শরীর গরম করা
ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি শরীর গরম করতে পারেন। কারণ ব্যায়ামের ফলে আপনার মাংসপেশি রিলাক্সড হবে এবং আপনি চাপমুক্ত হবেন। তবে মনে রাখবেন দিনের শেষভাগে কখনো ব্যায়াম করবেন না। আপনি যদি ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর গরম করতে চান তবে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম করবেন না। অর্থাৎ ব্যায়ামের কাজটি ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগেই সেরে নিন।

২. রিলাক্স এবং মুক্তানুভব
রিলাক্সেশনের মাধ্যমে আপনি প্রশান্তি অনুভব করতে পারেন এবং কিছু সময়ের জন্য আপনার মানসিক চাপকে ভুলে যেতে পারবেন। বিভিন্ন রিলাক্সেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে ‘ইয়োগা মেডিটেশন’ উল্লেখযোগ্য। এগুলো শরীর ম্যাসাজ অথবা অল্প গরম পানিতে গোসল করার মতোই উপকারী। ঘুমানোর পূর্বে কিছু সময় ভালোবাসায় নিমগ্ন হওয়াও এক ধরনের প্রাকৃতিক রিলাক্সড এবং বেশ কার্যকর।

৩. ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ
একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা এবং এটাকে ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যেভাবেই এটা নির্ধারণ করি সেভাবেই আমাদের শরীর এবং মন তার সাথে খাপ খেয়ে যায়। ঘন ঘন এবং ব্যতিক্রম হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই সহজে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা উচিত।

৪. ভিন্ন দিকে মনকে প্রকাশিত করা
ঘুমাতে গিয়ে যদি আপনি অস্থির থাকেন এবং এপাশ-ওপাশ শুরু করেন তবে আপনি কিছুতেই ঘুমাতে পারবেন না। যদি এ রকম কখনো হয় তবে পাশের রুমে চলে যান এবং আপনি দুটি কাজ করতে পারেন। (ক) একটি বই নিয়ে কিছু সময়ের জন্য তাতে মনোনিবেশ করুন। (খ) পছন্দের কোনো গান শুনতে পারেন। যখন তন্দ্রাচ্ছন্নভাব অনুভব করবেন তখন বিছানায় চলে যাবেন।

৫. খাদ্য উপাদান
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। খাদ্যে ঝাল, চর্বি এবং ভরাপেটে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না এবং পেটের অস্বস্তিতে রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রাতের খাবারের ৬ ঘণ্টার মধ্যে চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকা ভালো। যে সব খাবার সহজে হজম হয় রাতে খাবারের তালিকায় সেগুলো থাকা উচিত। একটি পুরাতন প্রথা না ভোলাই ভালো সেটা হলো খাবারের শেষে একগ্লাস গরম দুধ (যদি দুধে আপনার কোনো ক্ষতি না হয়) যা আপনাকে ঘুমানোর জন্য সাহায্য করবে।

যদি উল্লিখিত পদ্ধতিসমূহ পালন করার পরেও আপনার ভালো ঘুম না হয় এবং পরের ১ দিন আপনি খুবই ক্লান্তবোধ করেন এবং যদি তা দীর্ঘদিন চলতে থাকে তবে আপনার হয়তো অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মুখের দাগ দূর করার উপায়


মুখের দাগ দূর করার উপায়

কালো দাগ কিভাবে হয়?
মেছতা, ব্রণ, তিল থেকে কালো দাগ হয় । ব্রণের ইনফেকশন হলে মুখে কালো দাগ পড়ে । ইনফেকশন না হলে মুখে কালো দাগ হয় না । ব্রণ হলে যদি কেউ খোঁটে তাহলে কালো দাগ হয় । মেছতা রোগই একটা কালো দাগ । মেছতা তৈরি হয় কালো দাগ হিসেবে । মেছতা বলতেই আমরা কালো দাগকেই বুঝি । মুখের কালো দাগ অন্য কোনো রোগের জন্য সৃষ্টি হয় না, এটি মেছতার কারণেই হয় । তিল মুখের অনেক জায়গায় হয় । প্রথম দিকে তিল ছোট থাকে । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হয় এবং সূর্যের আলোর কাছে গেলেও বাড়ে । তিল পুরুষদের বেশি হয় । যারা একটু ফর্সা, তিল তাদের একটু বেশি হয় ।
মুখের দাগ দূর করার উপায়

পদ্ধতি:১: পাকা পেঁপে আপনার এই সমস্যা দূর করে দেবে৷ যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান ৷ এই লেপটা যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই লেপটা লাগান ৷ এই ভাবে তিন চার বার এই লেপটা লাগান ৷ 20 মিনিট লেপটা লাগিয়ে রাখার পরে মুখটা ভালো করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন ৷ এই ভাবে দিন 15-20 আপনি ঐ লেপটা লাগাতে পারেন আপনার মুখের কালো ছাপ অনায়াসেই দূর হয়ে যাবে ৷
পদ্ধতি:২: চেহারায় কোনো খুঁত বা আঘাতের চিহ্ন থাকলে দু’টি ঘরোয়া সমাধানের মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব ।
প্রথমে শুকনো হলুদের গুড়ার সঙ্গে দেশি ঘি মিশান । তারপরে মিশ্রিত গুড়া আঙ্গুলের ডগা দিয়ে খুঁত বা দাগের ওপর আলতো ভাবে মাখুন । ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন । এভাবে পরিপূর্ণভাবে দাগ দূর করা সম্ভব ।
পদ্ধতি:৩: হচ্ছে দুভাগ পানি ও এক ভাগ আগুনে পোড়া সোডা মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন । মিশ্রিত সোডা খুঁত বা দাগযুক্ত স্থানে এক মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন । এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । তবে জোরে জোরে ক্ষত স্থানে কোন ক্রিম বা মালিশ ব্যবহার অনুচিত । এ পদ্ধতি ক্ষত টিস্যুকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলে । আর মনে রাখবেন প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি ও ফল খাবেন।


রক্তদান নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর, বিষয় গুলো নিজে জানুন অন্যকে জানান। বাঁচান একটি জীবন!!

প্রিয় আমিওপারি পাঠক বৃন্দ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন রক্তদান করতে চান কিন্তু তাদের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন থাকার কারনে এবং সঠিক তথ্য না জানার কারনে তারা রক্তদান থেকে দিনে দিনে পিছিয়ে যাচ্ছেন। এবং এতে করে আমাদের জন্য কিন্তু অনেক অশুভ দিন অপেক্ষা করছে। কেননা আজকে আপনি বা আমি যদি স্বেচ্ছায় রক্তদান না করি তাহলে এক সময় আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেও আমরা সময় মতো রক্ত পাবনা? এবং এই রক্তের অভাবে চোখের সামনে আমাদের সবচাইতে পছন্দের মানুষটির একটি খারাপ পরনতি আমরা কেউই আশা করি না। তাই বন্ধুরা আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ সময় থাকতে কখনো রক্তদানে হেলামি করবেন না। আর এ নিয়ে সকল তথ্য আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। মনে রাখবেন আপনার দানকরা এক ব্যাগ রক্ত ঘুরে ফিরে আপনার নিজের মানুষ টিকেও বাঁচিয়ে দিতে পারে, আপনার অজান্তে।তাহলে এবার আসুন জেনে নেই রক্তদান সম্পর্কে কিছু জরুরী তথ্য।

১. এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- শেষবার সেবনের কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর করা যাবে।

২. সর্দি-জ্বর অথবা কোন ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত অবস্থায় রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- জ্বর-সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে ৭ দিন পর দেয়া যাবে।

৩. কোন প্রকার টিকা গ্রহণ করলে কতদিন পরে রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- ২৮ দিন

৪. যক্ষ্মা হলে পূর্ণমাত্রার ওষুধ সেবনের কতদিন পর রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- ২ বছর

৫. হেপাটাইটিস এ/হেপাটাইটিস-ই সুস্থ হওয়ার কত মাস পর রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- ৬ মাস

৬. হেপাটাইটিস বি, সি আক্রান্তরা রক্ত-দান করতে পারবে ?
উত্তরঃ- কখনই রক্ত-দান করতে পারবেনা।

৭. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া অবস্থায় রক্ত-দান করা যায় কিনা ?
উত্তরঃ- রক্ত-দান করা যাবে।

৮. গর্ভাবস্থায় রক্ত দেয়া যাবে কিনা?
উত্তরঃ- না

৯. মেয়েলি সমস্যা চলাকালিন রক্ত দেয়া যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- না

১০. ক্যানসার, হৃদরোগ, বাতজ্বর, সিফিলিস(যৌন রোগ., কুষ্ঠ বা শ্বেতী রোগীরা রক্ত-দান করতে পারবে কিনা ?
উত্তরঃ- কখনও রক্ত-দান করতে পারবে না

১১. কোন অসুস্থতার কারনে একজন মানুষ রক্ত-গ্রহণ করলে, উনি আবার কত দিন পর রক্ত-দান করতে পারবে ?
উত্তরঃ- ১ বছর

১২. হাঁপানি রোগীর ইনহেলার ও নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- না

১৩. রক্তদানের কতদিন পর পুনরায় রক্তদান করা যায় ?
উত্তরঃ- পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর-অন্তর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর অন্তর।

১৪. রক্তদান করতে কতক্ষণ সময় লাগে ?
উত্তরঃ- ডোনারের স্যাম্পল নিয়ে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা করতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট, সব কিছু ঠিক থাকলে ১ ব্যাগ রক্ত দিয়ে সময় লাগবে সর্বোচ্চ- ১০ মিনিট। সব মিলিয়ে ১ ঘন্টাতে রক্তদানের কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন।

লেখাটি আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করে পৌঁছে দিন। এবং এরকম সকল গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে।


শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

অ্যাজমা

গ্রীক ভাষায় অ্যাজমা শব্দের অর্থ হল হাঁপ ধরা অথবা হ্যাঁ করে শ্বাস টানা। গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যে কোন ধরনের শ্বাসকষ্টকে হাঁপানি নাম দিয়েছিলেন। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। আবার যার অ্যাজমা আছে সে কখনও এ রোগ থেকে একেবারে ভালো হবে না কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। অ্যাজমাকে বলা হয় এমন একটা রোগ যার নিয়ন্ত্রণই একমাত্র চিকিৎসা। অ্যাজমার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উন্নত দেশ বলুন আর উন্নয়নশীল দেশই বলুন সব স্থানেই অ্যাজমা বেড়েই চলেছে। ৩০০ মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে সারাবিশ্বে এ রোগে ভুগছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১০০ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কম বয়সের ছেলেদের মাঝে এ রোগ বেশি দেখা যায়। আর প্রাপ্ত বয়সের রোগীদের মাঝে মহিলারাই বেশি আক্রান্ত হয়। অ্যাজমা রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। প্রায়ই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালী অতিরিক্ত সংবেদনশীল। এর ফলে কোন উত্তেজক যেমন ঘরে ধুলা, সিগারেটের ধোঁয়া, ঘরের ঝুল, ঠান্ডা লাগা, ফুলের রেণু বা পশুপাখির সংস্পর্শে আসা ইত্যাদিতে হঠাৎ করে শ্বাসনালী সংকুচিত করে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করতে পারে। রোগীর শ্বাসনালীর পথ স্বাভাবিক অবস্থার থেকে সরু হয়ে যায়, ফলে ফুসফুসে বাতাস প্রবেশের পথে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ হয়, শ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়, কাঁশি হয়, বুকে ভার হয়ে চেপে আসে। এই আক্রমণ মৃদু আকারে দেখা দিলে সামান্য ওষুধ বা ওষুধ ছাড়াই ভালো হয়ে যেতে পারে, আবার এটা মারাত্মক আকার ধারণ করে রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা হলে এ ধরনের মৃত্যুর ৯০% রোধ করা সম্ভব। এছাড়া রোগীর শ্বাসনালীতে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ হয়ে থাকে।

একই পরিবেশে একজনের অ্যাজমা অ্যাটাক হচ্ছে কিন্তু অন্য জনের হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ ঐ আবহাওয়ায় এমন কিছু জিনিস আছে, যার অ্যাজমা অ্যাটাক হলো সে ঐ জিনিসের প্রতি সংবেদনশীল। ঐ সব জিনিসকে বলা হয় অ্যাজমা ট্রিগার বা অ্যালার্জেন। অ্যাজমা অ্যাটকে ট্রিগার বা অ্যালার্জেনগুলো মোটামুটি নিম্নরূপ-

১। ধুলোবালি,
২। ফুলের রেণু,
৩। পোকা মাকড়,
৪। ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম,
৫। কিছু ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন, বিটাব্লকার),
৬। আবেগ (দুঃখের, ভয়ের কিংবা আনন্দের কারণে হতে পারে),
৭। ধূমপান,
৮। পোষা প্রাণী।
৯। ঠাণ্ডা এবং ভাইরাস,
১০। পশু-পাখীর লোম ইত্যাদি।

শ্বাসনালীতে রেসপেরিটরী সিনসাইটিয়াল ভাইরাস আক্রমণ করলে অ্যাজমা হতে পারে।

এছাড়া যৌন কার্যক্রম কারো ক্ষেত্রে অ্যাজমা অ্যাটাক করতে পারে।

এসব অ্যালার্জেন একেকজনের বেলায় একেক রকম হতে পারে। কারো একটা, দুটো কারো পাঁচ সাতটাও থাকতে পারে। সুতরাং অ্যাজমা অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই ধরণ অনুযায়ী এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

যেসব কারণে হাঁপানি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তার উপর ভিত্তি করে অ্যাজমাকে দুভাগে ভাগ করা যায়।

১.
এলার্জি বা বাহিরের কারণ জনিত অ্যাজমা : এর ফলে কোন উত্তেজক যেমন ঘরের ধুলা, ধুলাবালি, ফুলের গন্ধ, নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য, ছত্রাক, সিগেরেটের ধোঁয়া, ঘরের ঝুল ঝাড়া, ঠাণ্ডা লাগা, ফুলের রেণু বা পশুপাখির সংস্পর্শে আসা ইত্যাদিতে হঠাৎ করে শ্বাসনালী সংকুচিত করে প্রচণ্ড শ্বাসকণ্টের সৃষ্টি করতে পারে। জন্ম থেকেই এদের হাঁপানি হওয়ার প্রবণতা থাকে। অনেক সময় এসব রোগীর এলার্জির অন্যান্য উপসর্গও থাকতে পারে। যেমন এলার্জিক রাইনাইটিজ, একজিমা ইত্যাদি। জীবনের প্রথম দিকে এধরনের হাঁপানি হয়ে থাকে।

২. স্প্যাজমোটিক বা ভিতরগত কারণজনিত অ্যাজমা : এধরনের রোগীদের এলার্জির কোন ইতিহাস থাকে না। জীবনের শেষ দিকে অর্থাৎ অধিক বয়সে এরূপ হাঁপানি হয়ে থাকে।

লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, বুকে সাঁই সাঁই আওয়াজ, বুকে চাপবোধ হওয়া, কাশি উঠতে থাকে। কোনো কোনো সময় কাশি একমাত্র লক্ষণ হতে পারে। প্রায় সময়ই রাত্রে, ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রমের সময় হয়। তবে যেকোন সময়ই অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে।

চিকিৎসা: হাঁপানি তীব্র আক্রমণ হলে রোগীকে সোজা করে বসান, শান্ত করুন এবং আশ্বস্ত করুন। সলবিউটামল জাতীয় ওষুধ এর ইনহেলার ৫ বার ঝাঁকিয়ে নিন, ৫ চাপ ওষুধ নিন, প্রতি চাপ নেওয়ার পর ৫ সেকেন্ড দম ধরে রাখুন, ৫ মিনিট পরে আবার একইভাবে ইনহেলার ব্যবহার করুণ। কোন পরিবর্তন না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এলার্জিজনিত হাঁপানির ক্ষেত্রে যেসব জিনিসে রোগীর শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায় তা পরিহার করা উচিত।
স্বাস্থ্যকথা

অ্যাজমা প্রতিরোধের উপায়

১. অ্যালার্জিকারক বস্তু এড়িয়ে চলা। যেমনঃ ধুলো, বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া, ঝাঁঝালো গন্ধ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
২. ঘর বাড়িকে ধুলাবালু মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এ জন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, ভিজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা।
৩. ঘরে কার্পেট না রাখা।
৪. বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা।
৫. শীতকালে যথাসম্ভব গরম পানিতে ওজু-গোসল করা।
৬. ধূমপান না করা।
৭. যেসব খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা পরিহার করে চলা।
৮. ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।
৯.
মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনোভাবে মানিয়ে চলা। কিংবা মানসিক চাপের কারণকে এড়িয়ে চলা।
১০. পেশাগত কারণে অ্যাজমা হলে চেষ্টা করতে হবে স্থান বা পেশা পরিবর্তনের।
১১. পরিশ্রম বা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ পরিহার করা।
১২. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করা। ইতিবাচক মন আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
১৩. পরাগ রেণু পরিহারে সকাল-সন্ধ্যা বাগান এলাকায় বা শস্য ক্ষেতের কাছে না যাওয়া।
১৪. পরাগ রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলা।
১৫. কুকুর-বিড়াল বাগান থেকে পরাগ রেণু বহন করতে পারে। এ জন্য নিয়মিত কুকুর-বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন।

১০ টি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস


১০ টি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস

স্বাস্থ্যসচেতনতায় আরও একটু বেশি সক্রিয় হওয়া সবসময়ই উচিত। স্বাস্থ্যই সকল সকল মূল কথাটি মিথ্যে নয়, তাই নজর রাখুন সাস্থ্যের প্রতি। মেনে চলুন সাস্থ্য রক্ষায় উপকারী নিয়মগুলো। আজ তেমনই উপকারী ১০ টি টিপস নিয়ে এসেছি আপনার জন্য..

>মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। খেতে পারেন আদা। প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে তা বিশেষভাবে কার্যকর।

>জ্বর হলে খেতে পারেন ইয়োগার্ট। মধুও খেতে পারেন।

>স্ট্রোক প্রতিরোধ চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত চা খেলে ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।

>অনিদ্রার সমস্যায় মধু কার্যকর।

>হাঁপানিতে পেঁয়াজ খান। শ্বাসনালীর সংকোচন রোধে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

>পেটের পীড়ায় খেতে পারেন কলা, আদা। আদা মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমিভাব দূর করে।

>ঠান্ডা লাগলে রসুন খান।

>স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গমজাত খাদ্য, বাঁধাকপি কার্যকর।

>আলসারের সমস্যায় বাঁধাকপি বিশেষভাবে উপযোগী। এতে থাকা খাদ্যোপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার হিল করতে সাহায্য করে।

>নানাগুণের অধিকারী মধু। অসাড়তা, গলাব্যথা, মানসিক চাপ, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।

[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]

সন্তান জন্মদানে অক্ষমদের জন্য সুখবর……


সন্তান জন্মদানে অক্ষমদের জন্য সুখবর……

সন্তান জন্ম দিতে যারা অক্ষম তাদের অনেকের মুখে হাসি ফুটতে আর বেশি বাকি নেই- এমন দাবি করেছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী৷ কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের দেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে পুরোপুরি সফল হয়েছেন৷

সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ সন্তানের বাবা-মা হতে চান৷ জগতের সব প্রাণীই চায়৷ এই চাওয়া চিরকালীন৷ কিন্তু চাইলেও অনেকে সন্তানের মা-বাবা হতে পারেন না৷ কারো কারো জন্য এই ‘না পাওয়ার ব্যথা’ অবর্ণনীয়৷ এবার একদল কোষবিজ্ঞানীর উদ্ভাবন এই হতাশা থেকে মুক্তির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখাচ্ছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’- এ প্রকাশিত হয়েছে একটি নিবন্ধ৷ ওই নিবন্ধের মাধ্যমেই জানা গেছে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীর অভূতপূর্ব সাফল্যের খবর৷ জাপানের এই বিজ্ঞানীদের দাবি, যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম, তাদের এই অক্ষমতা দূর করার সম্ভাবনা সৃষ্টির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা৷ সাধারণ কোষ থেকে ডিম্বকোষ তৈরি করে দেখিয়েছেন তাঁরা।

মানুষের বড় বড় আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে গিনিপিগ, মশা, মাছি, গরু বা ভেড়ার মতো প্রাণীদের অনেক অবদান৷ কিছুদিন আগে ক্লোনিংয়ের সার্থক রূপায়ণ প্রমাণ করে দেখাতে জন্ম দেয়া হলো মেয়ে-ভেড়া ডলিকে৷ ভেড়া ডলির নাম তাই মানব ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে আছে।

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাঁদের সাফল্য প্রমাণ করে দেখাতে বেছে নিয়েছিলেন একটি ইঁদুরকে৷ প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুরটি সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম৷ একে সক্ষম করতে প্রথমে বিজ্ঞানীরা তার দেহ থেকে কোষ নিয়ে সেগুলোর কিছু জিন পাল্টে দিয়ে এমন করে ফেললেন যার ফলে কোষগুলো একেবারে পুরুষদের শুক্রাণু বা মেয়েদের ডিম্বাণু তৈরির সহায়ক আদি কোষের অনুরূপ হয়ে গেল৷ সেই কোষগুলো নিয়ে সাধারণ কোষের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হলো ডিম্বকোষ৷ তারপর ডিম্বকোষ প্রোথিত হলো ইঁদুরের দেহে৷ তারপর সেই ইঁদুরের দেহে তৈরি হলো জননকোষ৷ প্রক্রিয়াটা খুব সহজ মনে হলেও মোটেই সহজ নয়৷ তারপর জননকোষগুলো নিয়ে রাখা হয় টেস্ট টিউবে আর সেখানেই অবশেষে তৈরি হয় নতুন ভ্রূণ৷ তারপর শেষ ধাপ৷ এ পর্যায়ে দরকার পড়ে ‘সারোগেট মাদার’-এর৷ অন্য একটি মেয়ে ইঁদুর এনে তার সহায়তায় জন্ম দেয়া হয় সুস্থ, স্বাভাবিক এক ইঁদুরছানা৷

দীর্ঘদিনের গবেষণা শেষে প্রাপ্তিটা কিন্তু আনন্দে আত্মহারা হবার মতোই৷ নারী-পুরুষের সরাসরি মিলন ছাড়া, দেহের সাধারণ কোষ নিয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে এক পর্যায়ে সুস্থ শিশুর জন্ম দেয়া- এ প্রায় এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড! বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রক্রিয়ায় যেসব নারী মা হতে ব্যাকুল, কিন্তু দেহে ডিম্বাণু তৈরি হয় না বলে পারছেন না, তাঁরাও মা হতে পারবেন৷ তাঁদের দেহ থেকেও কোষ নিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেই সেটা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে৷

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিচিনোরি সাইতো মনে করেন, তাঁদের এই সাফল্য ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো স্বচ্ছ ধারণা দেবে এবং সন্তান জন্ম দেয়ায় অক্ষমতার কারণ শনাক্ত করতেও সাহায্য করবে৷ তবে তিনি বলেছেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি, পথ এখনো অনেক বাকি৷ গবেষণার সাফল্য সম্পর্কে সংশয়মুক্ত হতে মানুষ আর বানরের দেহে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্তান জন্ম দেয়া যায় কিনা তা দেখার পরিকল্পনা আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

কিন্তু কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাতসুহিকো হায়াসি মনে করেন, মানুষের দেহে সরাসরি এ প্রক্রিয়া চালানোর কথা ভাবা এখনো সম্ভব নয়, কারণ, ইঁদুর নিয়ে কাজ করতে গিয়েই সম্প্রতি দেখা গেছে, আদি কোষ নিয়ে সেগুলোকে আবার অন্য একটি জীবিত ভ্রূণের কোষের সঙ্গে নিষিক্ত করতে হয় এবং তা করতে গেলে ওই ভ্রুণটি মারা যায়৷ কথা হলো, এভাবে নতুন শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে অন্য একটি ভ্রূণ হত্যা কি সবাই মেনে নেবেন? অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষেরই কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হওয়ার কথা৷ সে কারণে মানবদেহে এই প্রক্রিয়া যাচাই করে দেখার আগে গবেষণা করে বিকল্প উপায় বের করার পক্ষে কাসুহিকো হায়াসি

মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ কালোজিরা; জানুন কালোজিরা সম্পর্কে


মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ কালোজিরা; জানুন কালোজিরা সম্পর্কে

আমাদের প্রাত্যহিক সমস্যায় সমাধান খুজি অনেক কিছুতেই। তাতে কালোজিরা একেবারেই আরাধ্য জিনিস, এর কার্যক্ষমতা এতটাই ব্যাপক যে, যদি মৃত্যু নামে কোন ব্যাপার না থাকতো তাহলে হয়তো বলা যাইতো, অমরত্ব চাইলে কালোজিরার আশ্রয় নাও! কারণ মৃত্যু ব্যতীত কালোজিরাতে কাজ হয় না এমন সমস্যা নাই বললেই চলে। চলুন জেনে নেই কালোজিরার গুনের তালিকা।

আমাদের আধুনিক ডাক্তারিশাস্ত্র আর ধর্মীয় অনুভূতি যাই বলি না কেন কালোজিরা সবখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাই বলা হয়েছে,

 

তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সকল রোগের নিরাময় ইহার মধ্যে নিহিত রয়েছে” -মৃত্যু ছাড়া: (সহীহ বুখারী-১০/১২১)

কালোজিরার গুনাগুনঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে।

রক্তের শর্করা কমায়ঃ কালোজিরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিক আয়ত্তে রাখতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনঃ কালোজিরা নিন্ম রক্তচাপকে বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

যৌন ক্ষমতাঃ কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। এবং কালোজিরা সেবনে স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ফলশ্রুতিতে পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

স্মরণ শক্তি উন্নয়নঃ কালোজিরা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তলতে সাহায্য করে।

হাঁপানীঃ কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধনে সহায়তা করে।

চুল পড়া বন্ধ করেঃ কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যাথাঃ কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মায়ের দুধ বৃদ্ধিঃ কালোজিরা মায়েদের বুকের দুধের প্রবাহ এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিঃ কালোজিরা শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।

দেহের সাধারণ উন্নতিঃ নিয়মিত কালোজিরাসেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।

এছাড়া অরুচি,পেটে ব্যথা,ডায়রিয়া,আমাশয়,জন্ডিস,জ্বর,শরীর ব্যথা,গলা ও দাতে ব্যথা,পুরাতন মাথা ব্যথা,মাইগ্রেন,চুলপড়া,খোসপঁচড়া,শ্বেতি,দাদ,একজিমা,সর্দি,কাশি,হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

এটি মূত্র বর্ধক ও উচ্চরক্তচাপ হ্রাসকারক,গ্যসট্রিক আলসার প্রতিরোধক,ভাইরাস প্রতিরোধক,টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক,ব্যকটেরিয়া এবং কৃমিনাষক,রক্তের স্বাবাবিকতা রক্ষাকারক,যকৃতের বিষক্রিয়া নাষক,এলার্জি প্রতিরোধক,বাতব্যথা নাশক।

কালোজিরায় যে রাসায়নিক উপাদানগুলো আছে:

অনুদ্বায়ি তেল:

লিনোলিক,অলিক,স্টিয়ারিক,লিনোলিনিক এসিড।

প্রোটিন,নিজেলোন,গ্লুটামিক এসিড

এছাড়াও রয়েছে

নিজেলিন,পটাসিয়াম,ফসফরাস,কেলসিয়াম,সোডিয়াম,মেগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,

কপার,আয়রন,জিংক।

ব্যবহার:

১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

 

 

সূত্রঃ

ডা. মো.আবদুল হাই রাহাত

সমস্যা যখন ডায়াবেটিসঃ জেনে নিন, কী খাবেন, কী খাবেন না?!


সমস্যা যখন ডায়াবেটিসঃ জেনে নিন, কী খাবেন, কী খাবেন না?!

আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে, মানুষ নাকি খেয়ে মরে, না খেয়ে বেশি দিন বাঁচে। তবে বেশি বা কম খাওয়া নয়, বরং পরিমিত খাদ্য গ্রহণই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।

আপনার বংশের কারও কি ডায়াবেটিস রোগটি আছে? সবসময় কি খুব টেনশন করেন? কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন? উত্তরগুলো যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কিছু মনে করবেন না, আপনি কিন্তু ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

 

আপনাকে ভয় দেখাতে নয়, বরং সচেতন করতেই এই তথ্যটুকু জানানো। আর যারা এ রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত, তারা জেনে নিন কীভাবে, কোন ধরনের, কোন সময়ে, কী কী রকম খাদ্য পরিহার করবেন বা গ্রহণ করবেন।

ডায়েট শব্দটা আমাদের কাছে খুব পরিচিত। এটি বুঝায় কী খেতে হবে আর কী খেতে হবে না। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য ডায়েট শব্দটা একটু ভিন্ন। খাদ্যতালিকা নির্ধারণে সহজ কিছু টিপস এই রোগীদের জন্য তো বটেই, সাধারণের জন্যও উপকারী।

 

কী খাবেন :

* প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি খেতে হবে।

* প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত তিন ধরনের তাজা সবজির পদ থাকতে হবে।

* প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে।

* কম ফ্যাটযুক্ত দুধ পান করতে হবে।

* প্রতিদিন কম করে ২০-২৫ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খেতে হবে।

* প্রতিদিন খানিকটা দারুচিনি গলাধঃকরণ করতে হবে।

* প্রতিদিন পরিমাণমতো তাজা ফল খেতে হবে।

* মনে রাখতে হবে যতটা সম্ভব হারবাল চা পান করতে হবে, ক্যাফেইন চার পরিবর্তে।

একটু অদ্ভুত লাগছে নাকি খাবারের তালিকাটা? ভাবছেন, কেন পেঁয়াজ খাব? জেনে আশ্চর্য হবেন যে,

পেঁয়াজের ভেতরে এমন উপাদান থাকে যা আসলে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। পেঁয়াজ হজমে এবং ডায়াবেটিসের জন্য মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। দারুচিনি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। দারুচিনির কয়েকটি টুকরো কিছু সময় পানিতে গরম করে ‘দারুচিনি চা’ হিসেবে খেলে ডায়াবেটিসের জন্য বেশ উপকারী।

খাবেন না বা কম খাবেন :

* কখনও বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না।

* যেসব খাদ্য বা পানীয়ে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে সেসব বর্জন করতে হবে।

* অতিরিক্ত কাঁচা লবণ নয়।

* বেশি ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

* প্রতিদিন দু কাপের বেশি চা বা কফি খাওয়া যাবে না।

* দুধ খেতে হলে ফ্যাট কমিয়ে খেতে হবে।

* পনির ফ্যাট ছাড়া খেতে হবে।

* ভাত, আলু, কলা এবং গাজর রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়। সুতরাং যত কম খাবেন, তত ভালো।

মনে হয় এগুলো মানা খুব কঠিন কিছু নয়। আপনি যদি ডায়াবেটিক তাহলে এগুলো তো অবশ্যই পালনীয়। আর যারা ভালো আছেন তারা যদি এভাবে নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে নিরাপদ থাকতে পারবেন।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কিছু টিপস!

গর্ভবর্তী সময়টি একটি মায়ের ও তার সন্তানের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টিতেই একটি মেয়েকে সবচাইতে বেশী গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা এই সময়টিতে সামান্য ভুল কিংবা অসাবধানতার কারণে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত বিপদ। যা মায়ের বা সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এছাড়াও এই সময় মায়ের খাবারের পুষ্টিগুন সম্পর্কে অনেকটা পরিস্কার ধারণা রাখা উচিত। কারণ গর্ভবতি অবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয় সন্তানের দৈহিক বিকাশের জন্য। তবে সুখবর হলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকেই বর্তমানে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে অনেকটা সচেতন। তবে মায়ের পুষ্টিকর খাবার প্রদান, সময় মত চেকআপ, খিচুনী, ভারীকাজ না করা এই সব সচারচর বিষয়। অনেকে মনে করেন উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলোই শুধু মাত্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? না। কেননা এমন অনেক জানা-অজানা বিষয় আছে যা গর্ভবতী মায়ের যত্নের জন্য অনেক জরুরী। আর সে সব জানা-অজানা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতেই এই পোষ্টটি করা। আশা করি সবার উপকারে আসবে।

গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু টিপস :

  • গর্ভধারনের পূর্বে মানসিক ভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে নিন।কখনও আপনার এমন যেন মনে না হয়, আপনি গর্ভবতী। কেননা আপনার চিন্তা-ভাবনার প্রভাব গর্ভজাত শিশুর ওপর ভীষণভাবে পড়ে। আর শেষ কবে ঋতুচক্র হয়েছিল তার ওপরও লক্ষ্য রাখুন। নয়তো সন্তানের জন্মের তারিখও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।
  • একটি শিশুর স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ রূপে মা-বাবার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। গর্ভবতী অবস্থায় মা যে খাবার গ্রহণ করবে, তার উপর শিশুর বিকাশ ঘটে। তাই খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার্স, আয়রন, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাদ্য অবশ্যই থাকার দিতে লক্ষ্য রাখা উচিত। অনেকে মনে করেন : বেশি তেল বা ঘি দিয়ে রান্না খাবার খেলে শিশু স্বাস্থ্যবান হয়। কিন্তু একথা সম্পূর্ণ ভুল। তাই এমন খাবার গ্রহন করা উচিত যা পুষ্টিকর, যেমন—তাজা ফল, সবুজ সবজি, দুধ, দই ইত্যাদি উপযোগী খাবার। আর অকারণে ওষুধ সেবনের কোনো প্রয়োজন নেই।
  • যদি আপনি অন্য কোনো রকমের ওষুধ সেবন করেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে গর্ভধারণের আগেই ওষুধ সেবন বন্ধ করা। এতে আপনার বডি স্ট্যাটাস নরমাল থাকবে। আর শিশুর কোনো রকমের সমস্যা হবে না।
  • যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী (স্বামী) ধূমপায়ী হন তাহলে গর্ভধারণ করার আগেই আপনাদের ধূমপান বন্ধ করুন। কেননা ধূমপান ও ড্রিঙ্কস গর্ভজাত শিশুর পক্ষে হানিকারক হয়। যেসব মহিলা ধূমপান করেন তারা সময়ের আগেই কম ওজনের শিশুর জন্ম দেন এমনকি মৃত শিশুরও জন্ম হতে পারে।
  • যদি আপনি কোনো রাসায়নিক সংস্থা বা এক্সরেসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকেন তাহলে এর বিষজাতীয় ধোঁয়া আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। এসব স্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি।
  • অতিরিক্ত শব্দ বা উচ্চ আওয়াজের গান বাজনা থেকে থাকুন। প্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ থেকে রক্ষার জন্য বাড়ির বাহিয়ে কম বের হতে চেষ্টা করুন।
  • শিশুর জন্মের আগে তার সুরক্ষার জন্য ব্লাড টেস্ট অবশ্যই করাবেন। এইচআইভি টেস্ট করানোও জরুরি।
  • গর্ভবতী মহিলার সন্তান জন্মের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের সময় প্রয়োজনীয় রক্তের যোগানের ব্যবস্থা রাখুন। এবং রক্তদানের পূর্বে এইডস (HIV) ভাইরাস অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।

গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষার দায়িত্ব একটি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের। সুতরাং আপনার পরিবারে যদি কেউ গর্ভবতী থাকে তাহলে তার প্রতি অধিক মনোযোগ দিন যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাটি সুস্থ দেহে পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।

আপনার শরীরকে বিষমুক্ত রাখবে এই ১০টি খাবার


আপনার শরীরকে বিষমুক্ত রাখবে এই ১০টি খাবার

১. লেবু

লেবুতে আছে একগুচ্ছ ডিটক্স ডাইট ( যা টক্সিন নামক বিশেষ প্রকার জৈব বিষ নির্মূলে সাহায্য করে)।

লেবুতে পাবেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি, যা ত্বকের জন্য উপকারী। তাছাড়া লেবুর ক্ষারীয় প্রভাব আপনার শরীরের pH এর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন এক ফালি লেবু তারসাথে গরম পানি আপনার শরীর থেকে টক্সিন নির্মূল করবে ।

২. আদা

অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার যা আপনার পাচনতন্ত্রের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে । প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু আদা যোগ করুন । এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে, বমি বমি ভাব দূর হবে এবং পেটের গ্যাস দূর করবে । নিয়মিত আদা চা সেবন সবচেয়ে উপকারী।

৩.রসূন

আমরা সবাই জানি রসূন হলো হার্টের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য । রসূনে আছে এলিসিন নামক রাসায়নিক উপদান যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে এবং টক্সিন নির্মূলে সাহায্য করে। কাচা রসূন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী । তাছাড়া সালাদের সাথে কাচা রসূন খাওয়া যেতে পারে ।

৪. আর্টিচোক

সম্প্রতি যদি আপনি অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তবে অব্শ্যই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কিছু আর্টিচোকের পাতা যোগ করুন । এতে পাবেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ ও ফাইবার যা তৈলাক্ত খাবার হজমে দ্রুত সাহায্য করে । তাছাড়া আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতেও আর্টিচোক সাহায্য করবে ।

৫. বীট

কারো শরীরে যদি দ্রুত পুষ্টির প্রোয়োজন হয় তবে অবশ্যই বীট খাওয়া উচিত । বীটে আছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি । বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপদান থাকার জন্য অনেকে বীটকে সুপারফুড বলে থাকে । চুল, ত্বক এবং কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বীটের সালাদ বা জুস খুবই উপকারী।

৬. গ্রীন টি (সবুজ চা)

সবুজ চা যদিও কোন খাবার না তবে আপনার শরীর থেকে বিষযুক্ত জৈব রাসায়নিক নির্মূলে পানীয়র কোন বিকল্প নেই। তরল খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপাদানকে কর্মক্ষম রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আর সবুজ চা পান হচ্ছে সবচেয়ে ভাল। সবুজ চা শুধুমাত্র চা নয়, এটি একটি ভাল ওজন হ্রাস পানীয়, এতে আছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ । গবেষণা থেকে জানা যায় সবুজ চা লিভারকেও সুস্থ রাখে ।

৭. বাধাকপি

বাধাকপির সুপ শুধুমাত্র আপনার শরীরের ওজনই কমায় না, শরীরের পূর্বের আকার ফিরে পেতে সাহায্য করে । বাধাকপি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে গ্লুটাথায়ন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা আপনার লিভারকে কর্মক্ষম রাখাতে সাহায্য করে ।

৮. টাটকা ফল

তাজা ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, ফাইবার এবং কম ক্যালোরি যা আপনার শরীর থেকে খারাপ উপাদানগুলো নির্মূলে সাহয্য করে । আপনার চোখ ও ত্বককে উজ্বল করে এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়।

৯. বাদামি চাল

আপনার শরীরের সিস্টেমকে যদি কর্মক্ষম এবং সুস্থ রাখতে চান তবে অবশ্যই প্রসেস ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে তার পরিবর্তে বাদামি চাল খেতে হবে । বাদামি চালে পাবেন ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাসসহ detoxifying পুষ্টি। তাছাড়া উচ্চ ফাইবার (আশযুক্ত খাবার), মলাশয় শোধক এবং মৌলিক খনিজ পদার্থ।

১০. জলজ শাক

একপ্রকার জলজ শাক যার ঝাল ঝাল পাতা সালাদে দেওয়া হয় এটি একটি চমৎকার স্বাস্থ্য-সহায়তাকারী এবং detox খাদ্য। এতে আছে ভিটামিন বি, দস্তা, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি যা মূত্রবর্ধক।

আল্লাহ তা’আলা আমাদের আশেপাশের সাধারণ কিছু খাবারের ভেতরই সমস্যাগুলোর সমাধান তৈরি করে রেখেছেন। শুধু একটু খেয়াল করুন, মেনে চলুন সুস্থ জীবনধারার নিয়মগুলো। ভালো থাকুন নিয়তই…

পায়ের গোড়ালির ব্যাথায় যা করতে পারেন


পায়ের গোড়ালির ব্যাথায় যা করতে পারেন

আল্লাহপ্রদত্ত মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রয়েছে সুষ্পষ্ট পার্থক্য এবং আলাদা আলাদা কাজ। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাকে ছাড়া অচল হয়ে যায় মানবদেহের প্রায় পুরোটাই। তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হচ্ছে পা। আমাদের চলাফেরায় নিয়ত পা ব্যবহার হলেও আমরা এর গুরুত্ব তখনি টের পাই,যখন কোনরূপ ব্যাথা কিংবা আঘাতে পা নিশ্চল হয়ে পড়ে। এই অতীব প্রয়োজনীয় অঙ্গের সুস্থতায় মেনে চলতে পারেন কিছু সুনির্দিষ্ট তরিকা। সে সম্পর্কেই আলোকপাত করছি..

মানবদেহের পায়ের প্রধান দু’টি অংশ হলো গোড়ালি ও পায়ের পাতা। পায়ের গোড়ালিতে যেসব কারণে ব্যথা হয় তার মধ্যে ক্যালকেনিয়ান স্পারই বেশি দায়ী। তা ছাড়া পায়ে কোনো আঘাত লাগলে বা পায়ের হাড় ভেঙে গেলে ব্যথা হয়। ক্যালকেনিয়ান স্পার থেকে অনেক সময় প্রদাহ হয়ে প্লাস্টার ফাসাইটিস হতে পারে। তা ছাড়া গেঁটেবাত, ওস্টিওমাইলাইটিস, স্পন্ডাইলো অর্থোপ্যাথি ইত্যাদি রোগে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। তবে বয়স বাড়লে ক্যালকেনিয়ান স্পার বা কাটার কারণেই বেশি হয় পায়ে ব্যথা।

কি করে বুঝবেনঃ

*পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে সাধারণত হাঁটলে সেটা আরও বেড়ে যায়।

*গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।

*খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে সাধারণত ব্যথা বেশি বাড়ে।

*প্লাস্টার ফাসাইটিস হলে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা সকালে বেশি থাকে এবং তা বেলা বাড়ার সাথে সাথে একটু কমে আসে।

*কখনো কখনো গোড়ালি শক্ত শক্ত মনে হয়।

*শক্ত জুতা ব্যবহার করলেও ব্যথা বেড়ে যায়।

কি করবেনঃ

*সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ যেমন­প্যারাসিটামল, ইন্ডোমেথাসিন, নেপ্রক্সিন ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। প্রয়োজন অনুসারে ফিজিক্যাল থেরাপি, যেমন­ মোম থেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।

*জুতার পরিবর্তন যেমন­ নরম সোল ব্যবহার করা, আর্চ সাপোর্ট দেয়া, গোড়ালির কাছে ছিদ্র করে নেয়া ইত্যাদি।

*কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন করে ক্যালকেনিয়ান স্পার বা কাটা কেটে ফেলতে হয়।

যেগুলো অবশ্যই মেনে চলবেনঃ

*সব সময় নরম জুতা ব্যবহার করবেন।

*শক্ত স্থানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা হাঁটবেন না।

*ভারী কোনো জিনিস, যেমন­বেশি ওজনের বাজারের থলি, পানিভর্তি বালতি ইত্যাদি বহন করবেন না।

*সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাতে সাপোর্ট দিয়ে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন এবং যথাসম্ভব গোড়ালির ব্যবহার কম করবেন।

*ব্যথা বেশি থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার ব্যায়াম নিষেধ।

*হাই হিল জুতা ব্যবহার করা নিষেধ।

*মোটা ব্যক্তিদের শরীরের ওজন কমাতে হবে।

*মালিশ ব্যবহার করবেন না।

শুধুমাত্র পায়ের গোড়ালির ব্যাথায় আক্রান্ত একজন নয়, সুস্থ একজন মানুষেরও এই নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। তাতে হয়তো আপনার চলাফেরার অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ বেচে যাবে যেকোন প্রকার অনিষ্ট থেকে।

চোখের জ্বালাপোড়ায় অবশ্য কর্তব্য


চোখের জ্বালাপোড়ায় অবশ্য কর্তব্য

 

মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গয়ের কার্যকারিতা যেমন ব্যাপক ঠিক তেমনি মৃদু সমস্যায় কাহিল করে তুলতে পারে গোটা মানবদেহকেই। সুন্দর, সুস্থ চোখের আশীর্বাদে আপনি যেমন স্বস্তি নিয়ে চলবেন, বিপরীতে চোখের জ্বালাপোড়ায় পাওয়া অস্বস্তি যথেষ্টই পীড়াদায়ক। আজ চোখের জ্বালাপোড়ায় আপনার করনীয় সম্পর্কে কিছুটা বলতে এই পোষ্ট।

যেসব কারনে চোখের জ্বালাপোড়া হতে পারেঃ

  • *চোখের পানি শুকিয়ে গেলে
  • *চোখের অ্যালার্জি
  • *বাতরোগ
  • *চোখের পাপড়ির গোড়ায় প্রদাহ থাকলে
  • *চোখের অপারেশন হলে
  • *ঘুমের সময় চোখ বন্ধ না হওয়া
  • *চোখের কালো মণিতে ভাইরাস সংক্রামণ হলে
  • *কালো ধোঁয়া, ধুলোবালি চোখে পড়লে
  • *চোখে রাসায়নিক পড়লে। যেমন—চুন, এসিড ইত্যাদি
  • *চোখে ওষুধের রিঅ্যাকশন হলে (স্টিভেন জনসন সিনড্রোম)
  • *চোখের ড্রপ ব্যবহারেও প্রাথমিক অবস্থায় চোখ জ্বলতে পারে

আপনাকে যা করতে হবেঃ

  • *রাস্তাঘাটের কালো ধোঁয়া ও ধুলোবালি থেকে চোখ রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
  • *চোখের পানি কমে গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখে কৃত্রিম চোখের পানি ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • *পানি শুকিয়ে যাওয়ার যেসব কারণ যেমন—বাতরোগ, শোগ্রেন সিনড্রোম ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

  • *সালফার-জাতীয় ওষুধে যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের তা বর্জন করতে হবে।
  • *চিকিৎসকের পরামর্শে চোখের অ্যালার্জি এবং কর্নিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হবে।
  • *চোখ বেশিক্ষণ বন্ধ রাখলে অনেক ক্ষেত্রে চোখের জ্বালা কমে। সে জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
  • *চোখে কেমিক্যাল পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চোখে বেশি করে পানি দিয়ে অনেক সময় ধরে ধুয়ে ফেলুন।
  • *চোখে ড্রপ দেওয়ার কারণে চোখ জ্বললে ভয় পাবেন না। আস্তে আস্তে কমে যাবে। এক্ষেত্রে আপনার স্থিরতাই হতে পারে ভালো সমাধান।

পুরুষত্বের শত্রু চর্বি


পুরুষত্বের শত্রু চর্বি

পনির আর মাংসে যে চর্বি থাকে, তা কেবল পুরুষদের স্থূলতাই বাড়ায় না, শুক্রাণু কমিয়ে পুরুষত্বেরও ক্ষতি করে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত গবেষণামূলক নিবন্ধের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

নিবন্ধের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ডেনমার্কের একদল গবেষক তাঁদের সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে দাবি করেছেন, পনির ও মাংসের অতিরিক্ত চর্বি পুরুষদের শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণবয়স্ক ডেনিশ পুরুষের শুক্রাণুর ঘনত্ব মোটামুটি চর্বি খাওয়া একজন পুরুষের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া সবচেয়ে কম চর্বি খাওয়া একজন পুরুষের শুক্রাণুর ঘনত্ব বেশি চর্বি খাওয়া একজন পুরুষের শুক্রাণুর চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি।

এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক টিনা জেনসেন বলেন, ‘ব্যাপারটি মোটেও হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়। আমরা জানি যে পনির ও মাংসের চর্বি মানুষের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’

খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যে পুরুষের শুক্রাণুর মান সম্পর্কযুক্ত ব্যাপারটি অতীতে অনেকবারই গবেষণার বিষয় হয়েছে। ২০১১ সালে ব্রাজিলে একই ধরনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ গম, বার্লি ইত্যাদি বেশি খান, তাদের শুক্রাণুর ঘনত্ব বেশি। একই ধরনের আরেক গবেষণায় গবেষকেরা দেখিয়েছেন, ফলাহারি পুরুষদের শুক্রাণুর মান ফল কম খাওয়াদের চেয়ে অনেক উন্নত।

ডেনমার্কের সর্বশেষ গবেষণায় কমপক্ষে ২০ বছর বয়সী ৭০১ জন পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এসব তরুণ ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

গবেষণার সময় এই ৭০১ জনের তাঁদের শেষ তিন মাসের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চারটি পর্যায়ে গবেষকেরা এই গবেষণাটির ফল প্রকাশ করেন।

গবেষণায় অবশ্য চর্বি খাওয়ার বাইরে মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচার বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। টিনা জেনসেনের মতে, বিশ্বজুড়ে পুরুষের শুক্রাণুর ঘনত্ব কমে যাওয়া নিয়ে যে বিভিন্ন গবেষণা চলছে, তাঁদের গবেষণাটি এ ক্ষেত্রে আংশিক ধারণা দিতে সক্ষম।

সূত্রঃ ইন্টারনেট অবলম্বনে

বিস্ময়কর ওষুধ’ রসুন,কাজ করে ক্যান্সারেও !!!


বিস্ময়কর ওষুধ’ রসুন,কাজ করে ক্যান্সারেও !!!

রসুনের গুণাগুণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন ল্যাবরেটরীর টেস্টটিউব বা পরীক্ষানলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জগৎ জোড়া এখন রসুনের জয়কয়কার। রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ বলা হয়। আর এই রসুনে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৬০০ গ্রাম রসুন খেলে রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ উল্লেখ্যযোগ্য মাত্রায় কমে যায়।

রসুন ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। মুখের আঁচিল বা ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে কাম-উদ্দীপক উপাদান। এটি রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। রসুন ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। রক্তে সুগারের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। এটি দাঁতের ব্যথাও নিরাময় করে থাকে।

১৯৯০ সালের দিকে আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডক্টর জুডিথ ডস এবং আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ডাঃ ড্যানিয়েল নিক্সন-এর নিবন্ধ প্রকাশ পেয়েছিল।

অবশ্য এরা তাদের গবেষণা নিবন্ধের সঙ্গে অন্যান্য আরো বিজ্ঞানীর এ সম্বন্ধে অতীতের গবেষণার একশটি নিবন্ধের উলেখ করেছিলেন, যেখানে সেসব বিজ্ঞানী ও ক্যান্সার রোগী হিসাবে রসুনের গুণাগুণের বর্ণনা করেছিলেন। চল্লিশ বছরের দীর্ঘ সময়ে লেবরেটরী পরীক্ষায় রসুনের গুণাগুণ দেখা হয়েছিলো, ইতর প্রাণীতে এর হিতকরী প্রভাব পড়েছে ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রে। মানুষের মধ্যে এর পরীক্ষা তত লক্ষ্যণীয় নয়।

১৯৮০ সালে অবশ্য চীন দেশের একটি গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছিলো চীনে যেসব অঞ্চলে লোকজন রসুন বেশি খান (দিনে তিন চতুর্থাংশ আউন্স) পাকস্থলীর ক্যান্সার সেখানে অন্যত্র স্থলের চেয়ে এক দশমাংশ কম।

১৯৮৯ সালে চীন দেশ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট যৌথভাবে গবেষণা করে একই ফলাফল লক্ষ্য করেছেন। পাকস্থলী ক্যান্সারের হারকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছিলো গবেষণাঃ যেসব অঞ্চলে রসুন, পেঁয়াজ এসব লোকজন বেশি খান এদের মধ্যে পাকস্থলী ক্যান্সারের হার অন্য অঞ্চলের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম।

ডাঃ ড্যানসন ও নিক্সন আরো রিপোর্ট করেছেন, যারা রসুন ও পেঁয়াজ বেশি বেশি খান সেসব জাপানী-হাওয়াইবাসীদের মধ্যে মলাশয়-মলান্দ্র ক্যান্সারের হার কম। বেলজিয়ামে প্রচুর পেঁয়াজ যারা খেয়েছিলেন এদের মধ্যে মলাশয় ও মলান্দ্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম দেখা গেছে।

এর অনেক আগে ১৯৫৮ সালে ক্লিভল্যান্ডের ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছিলো, রসুনের একটি উপকার এলিসিন’র মত যৌগ উৎপাদন করে একে ইদুরের মধ্যে প্রয়োগ করে ক্যান্সার রোগীর প্রভাব দেখা গিয়েছিলো। ১৯৮৭ সালে ফ্লোরিডা ক্লিনিকের একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছিলো, যেসব লোকজন দিনে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন গ্রহণ করেছিলেন নিয়মিত তিন সপ্তাহ, এদের রক্তের শ্বেতকনিকা ন্যাচারাল কিলার সেলের সংখ্যা ও কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছিলো।

প্রাকৃতিক লতাগুল্ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এসব ভেষজ ও খাদ্যদ্রব্য যদি রোগ প্রতিরোধে বড় অবদান রাখার সমতা রাখে, তা হলে এদেরকে অবহেলা করার মধ্যে কোনও যুক্তি নেই। রসুন খেলে মুখে দূর্গন্ধ হতে পারে। কাঁচা রসুন খাওয়া মাকরুহ তানজিহী সেজন্য পাক করে খেতে হয়। রসুন খুব বেশি খেলে কারো পেটে সামান্য ব্যাথা হতে পারে।

রসুন দুদীর্ঘ কাল হতেই ভোজ্য, আহার্য। তাই একে সাদরে গ্রহণে আপত্তি থাকার কথা নয়।

দেহের বাড়তি ওজন কমায় পেঁয়াজ !


দেহের বাড়তি ওজন কমায় পেঁয়াজ !

আমাদের দেশে রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার হয় অহরহ। কিন্তু এটি সরাসরি তরকারি হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে এবং তা হতে পারে শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর। একই সাথে এটি কমাতে পারে আপনার শরীরের বাড়তি ওজনও।
কারন আপনি জেনে থাকবেন যে পেঁয়াজে আছে উচ্চমানের সালফার যৌগ। আর এর কারণেই পেঁয়াজ কাটলে আমাদের নাকে ঝাঁঝালো গন্ধ লাগে চোখে পানি চলে আসে। তবে এ বস্তুটিই আবার আমাদের অনেক উপকারে আসে। গবেষকেরা বলছেন, পেঁয়াজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ সমৃদ্ধ তরকারি বা পেঁয়াজের তরকারি খেলে উপকার পাবেন।
শুধু তাই নয়, পেঁয়াজ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। সুতরাং যারা পেঁয়াজ খান তারা খানিকটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। পেঁয়াজ ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর ২০ ভাগ মেটানো সম্ভব একটা পেঁয়াজ থেকেই।
একটি বড় মাপের পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি থাকে।

এবার পেঁয়াজের কিছু গুণাগুণ জানা যাক।

০ ঠান্ডা লেগে মাথা ব্যথা হলে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে দ্বিগুণ পানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।

০ জ্বর জ্বর ভাব হলে পেঁয়াজের রস নাক দিয়ে টেনে নিলে জ্বর জ্বর ভাব চলে যাবে।

০ বার বার বমি হলে চার-পাঁচ ফোঁটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে সেই পানি খেলে বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

০ হেঁচকি উঠলে পেঁয়াজের রস মিশানো পানি খেলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

০ পেঁয়াজ খেলে শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়।

০ পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়া নামক গুণাগুণ রয়েছে। তাই ফোঁড়া বা ঘা হলে তা পেঁয়াজের রস দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

০ চুল ধোবার আগে মাথায় আধঘন্টা পেঁয়াজের রস মেখে রাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।

০ বাত ব্যথার রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ব্যথা কম থাকবে।

আদা ! নানা রোগের মহৌষধ..


আদা ! নানা রোগের মহৌষধ..

আদা একটি উদ্ভিদ মূল মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ ঔষধ। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়।

আদা জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।

শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।

মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।

ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা।

আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি।

হঠাৎ যদি মুখ বেঁকে যায়


হঠাৎ যদি মুখ বেঁকে যায়

সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ব্রাশ ও মুখ ধোয়ার জন্য বেসিনের আয়নার সামনে দাড়িয়ে অবাক, একি! এক দিকে চোখ বন্ধ হচ্ছেনা, হা করতেই মুখ বেঁকে যাচ্ছে। মুখে পানি নিলে মুখ থেকে পড়ে যাচ্ছে, গাল ফুলাতে পারছেন না, কপাল বা ভ্রু কুচকাতে পারছেন না, কি হলো? নিশ্চই ঘাবড়ে গেলেন।

ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। এরকম সমস্যায় যদি কেউ পড়েন তবে বুঝতে হবে আপনার মুখের নার্ভে এমন কোনো সমস্যা হয়েছে যার ফলে আপনার মুখের মাংস পেশী তার স্বাভাবিক কাজ কর্মের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ফেসিয়াল বা বেল্স পলসি বলে। এটি আবার মুখ অবশ রোগ নামেও পরিচিত।

মানুষের মুখ মন্ডল এক বিশেষ ধরনের মাংস পেশী দ্বারা তৈরি। যার সাহায্যে মানুষ মুখের মাংস পেশীর সংকোচন ও প্রসারণ দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। আর এ জন্য একটি শিল্পের সৃষ্টি হয়েছে যার নাম মুখাভিনয় শিল্প। মুখ মন্ডলে মানুষের সৌন্দর্য ও দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গ যেমন- মুখ, নাক, চোখ, কপাল, কান ইত্যাদি স্থাপন করেছেন। এই অঙ্গের সাহায্যে মানুষ তার পরিচিতসহ খাওয়া দাওয়া, কথা বলা, শ্বাস গ্রহণ করা, দেখা, শোনার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে থাকেন।

এসব কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য মুখে কিছু সংখ্যক নির্দিষ্ট মাংস পেশী স্থাপন করা হয়েছে। ওই সব মাংস পেশীকে আদেশ নির্দেশ প্রদানের জন্য মগজ থেকে কানের পাশ দিয়ে নেমে সপ্তম ক্রেনিয়াল বা ফেসিয়াল নার্ভ ৫টি ভাগে বিভক্ত হয়ে মুখমন্ডলে বিভিন্ন মাংস পেশীকে সচল রাখে। কোনো কারণে উক্ত মস্তিকের ক্রেনিয়েল বা ফেসিয়াল নার্ভে প্রদাহ, প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যদিও আঘাত পেলে নার্ভ তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

যদিও ফেসিয়াল পলিসি এর সঠিক কারণ নির্ণয় অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। তবে ফেসিয়াল নার্ভের- ভাইরাস আক্রমণ, অতিরিক্ত ঠান্ডা আঘাত, ষ্ট্রোক, এসব এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

এবার চলুন জেনে নেই মুখ মন্ডলে স্বাভাবিক কাজকর্মের কি কি প্রধান মাংস পেশী এবং তার কি কাজ :

১। অক্সিপিটর ফ্রন্টালিস-ব্রু উপরে উঠায়

২। করোগেটর ও প্রসেসিস-ব্রু কুচকায়

৩। অরবিকুলার অকুলি চোখ বন্ধ করে

৪। জাইগো মেট্রিক- মেজর ও মাইন (উপরের ঠোট সহ মুখের কোনা উপরে উঠায়)

৫। বাক্সিনেটর- গাল ফুলায়, চুষতে সহায়তা করে।

হঠাৎ করেই এ রোগে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে অনেক সময় মাথা ব্যথাসহ আক্রান্ত পাশের কানের গোড়ায় ব্যথা হতে পারে। এরপর হঠাৎ করেই আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ করতে, কথা বলতে, কপাল কুচকাতে বা উপরে তুলতে, থুথু ফেলতে, পানি পান করতে, খাবার দাবার চিবাতে অসুবিধাসহ মুখ এক দিকে বেকে যেতে পারে।

চিকিৎসাঃ

যেহেতু এটি স্নায়ুবিক সমস্যা সৃষ্ট মাংস পেশীর অবশতা তাই এর চিকিৎসার মুখ্য ভূমিকা হলো ফিজিওথেরাপি। এ রোগে আক্রান্ত হলে আপনি প্রথমে একজন নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো প্রয়োজন বোধে স্টিরয়েড, ভিটামিন এবং তার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় সাধারণত ইলেক্ট্রিক নার্ভ ইস্টিমুলেশনসহ পদ্ধতিগত চিকিৎসা ব্যায়াম ও ম্যাসেজ উপকারী।

এর জন্য যে ব্যায়াম করতে হবে:

১। জোড় করে চোখ মারার চেষ্টা করা।

২। শিশ বাজানোর চেষ্টা করা।

৩। ঠোঁট চেপে ধরে গাল ফুলানোর চেষ্টা করা।

৪। কপাল কুচাকানো।

৫। ভ্রু কুচকানো ইত্যাদি।

এছাড়াও শক্ত খাবার আক্রান্ত গালে খেতে হবে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়া পরিহার করতে হবে।

এ সমস্ত রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। মনে রাখবেন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ফেসিয়াল প্যারালাইসিস রোগের একমাত্র এবং মূল চিকিৎসা।

ডা: মো: সফিউল্যাহ্ প্রধান
চেয়ারম্যান ও ফিজিওথেরাপী বিশেষজ্ঞ, ডিপিআরসি
২৯ প্রবাল হাউজিং, রিং রোড, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।
মোবাইল নং- ০১৭১৬৩০৬৯১৩।

 

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো

ব্যস্ত নাগরিক জীবনের টানাপোড়ন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও পরিবেশে হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপের “অ্যাটাক” হতেই পারে। এর প্রচুর কারণ যেমন আছে,তেমনি অনেক সময় ডাক্তাররাও এর নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজেও পান না । তবে এরকম অ্যাটাক শতকরা ১০% কিডনির সমস্যা বা অন্য কোন কারনে হয় বলে দেখা গেছে।

এই অজানা বিষয়টি মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলেও অনেক সময় ধরা পড়েনা। সাধারণত মেডিকেল পরীক্ষাতে সুস্পষ্ট ভাবে কোন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের কারন গুলো ধরা পড়বে বলেই আশা করা হয়। কিন্তু প্রায়ই এর কারন রুগি ও ডাক্তার দুইজনের কাছেই অজানা থাকে।

সবমিলিয়ে হাইপারটেনসন এর সঠিক চিকিৎসা জটিল, নিয়মিত এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে এমন অবস্থায় ডাক্তাররা চেষ্টা করেন রোগীর ব্লাডপ্রেসার কন্ট্রোলে রাখতে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে “সাইলেন্ট কিলার” বলা হয়। তাই কোন অবস্থাতেই একে হেলাফেলা করা ঠিক নয়। চিকিৎসার শুরু থেকেই এসব রোগীর নিয়মিতভাবে রক্তের বিভিন্ন রকমের মেডিকেল পরীক্ষা ও চেকআপ করাতে হবে। বছরে অন্তত একবার রক্তের ল্যাব পরীক্ষা করা ভীষণ জরুরি। এগুলো একজন হাইপারটেনশনের রোগীর সুস্থ আর নিরাপদ থাকার অন্যতম শর্ত। চিকিৎসা মতে এটা রোগীকে সুস্থ রাখতে ও তার জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য।

অন্যদিকে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত না করে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। রক্ত পরীক্ষার ফলে নির্দিষ্ট রোগীর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ বাছাই করা সম্ভব হয়। তাই রোগীর শরীরের উচ্চ রক্তচাপের কারন গুলো ধরা না পড়া পর্যন্ত টেস্টগুলো নিয়মমাফিক করতে হবে। এটা সাময়িক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডাক্তার রোগীর জন্য সঠিক মেডিসিন ও উপযুক্ত থেরাপি বাছাইয়ের সময় পান।

উচ্চ রক্তচাপ সাধারনত ব্যক্তির খাদ্যাভাস,বাড়তি ওজন, এবং জীবন যাপন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তাই এসব বিষয়ের যথাযথ ও নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা আর অভ্যাস গড়ে তুলে উচ্চ রক্তচাপকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক সময় রোগীর ওষুধ সেবনেরও দরকার পড়ে না।

উদাহরণ হিসাবে, প্রতিদিনের খাবার থেকে সোডিয়াম লবনকে বাদ দিন। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। বেশীরভাগ ফাস্টফুডে বা যে সব খাবারে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে তাতে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই সবার প্রথমে এসব খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। বেছে নিন প্রাকৃতিক, দেহের জন্য উপকারি খাবারগুলোকে। শুধু মাত্র এই একটি স্মার্ট কৌশলই দেখবেন আপনাকে কতটা সফল করে তোলে।

হাল্কা ব্যায়াম হতে পারে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের আরেকটি চমত্কার কৌশল। সঠিক খাদ্যাভাস আর নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করবে,যা আপনাতেই উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।

উচ্চ রক্তচাপ আপনার অজান্তেই হৃৎপিণ্ড’র রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও অনেক গুন বেড়ে যায় । তাই ডাক্তারের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিও চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান ছেড়ে দিন। ওজন নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাদ্যভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন।

ইদানিংএই ঘরোয়া চিকিত্সার ধারনা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটা শরীরে দ্রুত এবং নিরাপদ ভাবে কাজ করে। তবে আপনি যদি স্ব চিকিত্সা করতেই চান, তাহলে প্রথমে একজন স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী সাথে কথা বলে নিন। যা করবেন, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই।

একা থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে কি করবেন?


হার্ট অ্যাটাক হলে কি করবেন?

 

হার্ট অ্যাটাকের ভয় পান না, এমন মানুষ বোধহয় জগত সংসারে নেই। এই ঘাতক ব্যধি এই আধুনিক চিকিৎসার যুগেও বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ। প্রতিবছর পৃথিবীর বুকে রোগের কারণে যেসব মানুষ মারা যান, তাদের একটা বড় অংশের মৃত্যুর কারণ এই হার্ট অ্যাটাক। এবং তাদের মাঝে অনেকেই স্রেফ এই কারণে মৃত্যুবরণ করেন যে হার্ট অ্যাটাককালীন সময়ে তিনি ছিলেন একা। সঠিক সময়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই মানুষটিকে বরণ করে নিতে হয় মৃত্যু।

জীবনের প্রয়োজনে আমাদের অনেককেই আজকাল একা থাকতে হয়। কিংবা ধরুন কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, কিংবা বাসায় কেউ নেই এই মুহূর্তে, কিংবা নিজের অফিস কক্ষে একা আছেন, অথবা বাথরুমে গিয়েছেন… এমন কত ছোট খাট মুহূর্তে আমরা একলা থাকি, তাই না? অসুখ তো আর সময় বুঝে আসবে না, ধরুন সেই একলা থাকার মুহূর্তেই হলো আপনার হার্ট অ্যাটাক?

ইউরোপিয়ানদের তুলনায় ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তিন গুণ বেশি। ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসীদের মধ্যে তরুণরা অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে। আবার এটাও সত্য নয় যে, যারা মোটা তাদেরই হৃদরোগ হবে। আপনারা যদি হৃদরোগ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন যেখানে বাইপাস হয়েছে এমন রোগীদের রাখা আছে তাহলে দেখবেন যে, সেখানে মোটা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বরং দেখা যাবে যে তাদের বেশিরভাগই হালকা-পাতলা গড়নের মানুষ। সুতরাং, হালকা-পাতলা, চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া মানে এই নয় যে, আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন।

বিপদের কথা কেউ বলতে পারে না, তাই আসুন জেনে রাখি হার্ট অ্যাটাক করলে কি করবেন। কিংবা কি করলে বাড়তি কয়েক মুহূর্ত জীবনের জন্য লড়াই করতে পারবেন।

হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলো-

— বুকে অস্বস্তি কিংবা ব্যথা।

— শরীরের ওপরের দিকে অস্বস্তি বা ব্যথা, বিশেষ করে হাতে, পিঠে ও চোয়ালে বা পেটে।

— একটুতে হাঁফিয়ে ওঠা, হঠাত্ ঘাম, বমি বমি ভাব, মাথা হালকা লাগা বা ঘোরা।

পুরুষের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তিটা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে মাত্র ৩০ শতাংশ বুকে ব্যথা বোধ করে। অনেক সময়ই মেয়েদের লক্ষণগুলো এমন যে, সেগুলো উপেক্ষিত হয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন সাধারণ শরীর খারাপ লাগছে।

হার্ট অ্যাটাক হয়েছে অনুভূত হলে কি করবেন?

যদি উপরের লক্ষণ গুলো অনুভব করেন নিজের শরীরে, কিংবা মনে হয় যে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে… সেক্ষেত্রে প্রথম উপদেশ হচ্ছে ঘাবড়ে যাবেন না। ঘাবড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে। জ্ঞান হারাবার আগে ১০ সেকেন্ডের মতন সময় পাবেন, এই ১০ সেকেন্ডের মাঝেই নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করতে হবে।

আমাদের হার্ট যখন অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাকের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আপনি অজ্ঞান হবেন কি হবেন না সেটি তো আর এখনি বলে দেয়া যায়না। আর তাই হার্ট অ্যাটাক অনুভূত হলে বা হার্ট বিট অনিয়মিত অনুভূত হলে সাথে সাথে (১০ সেকেন্ডের মাঝে) খুব দ্রুত, জোরে এবং ঘন ঘন কাশি দিতে থাকুন। এমন ভাবে কাশতে থাকুন যেন কাশির সঙ্গে কফও বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেয়ার আগে লম্বা করে বুক ভরে শ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি এবং লম্বা নিঃশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পর পর করতে থাকুন। এতে করে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে শুরু করবে। অর্থাৎ আপনি ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারাবেন না, অন্তত কেউ আসার আগ পর্যন্ত নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন। এবং এই কাশির ফাঁকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করুন। দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পরুন, বসা থাকলে শুয়ে পরুন।

প্রত্যেক সাধারণ মানুষের জন্য এই টিপস জেনে রাখা অতি আবশ্যক। হাসপাতালে নেয়ার আগে এই টিপস অনেকখানি সাহায্য করবে রোগীকে। কারণ লম্বা নিঃশ্বাস নেয়ার ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয়। আর ঘন ঘন এবং জোরে কাশি দেয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাতে করে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়। মনে রাখবেন, লম্বা নিঃশ্বাস আর জোরে জোরে কাশি… হার্ট অ্যাটাকের সময় এই দুটো জিনিস আপনার সুযোগ দিবে নিজেকে রক্ষা করবার।

এলার্জিকে আজিবনের জন্য গুডবাই দিন

মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজিবনের জন্য। কি করতে আপনাকে প্রথমে-

১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এবার ১০ টাকার ইউসুব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার চামচ দিয়ে ভালো করে নারুন। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে,দুপুরে ভরা পেটে, রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন।২১ দিন একটানা খেতে হবে।কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে।ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে গেলে,হাঁসের ডিম , বেগুন ,গরু,চিংড়ি পেট ভরে খান। আর আমার জন্য দুয়া কইরেন।