Powered by Blogger.

দাগ বা চিহ্ন দূর করার লোশন

উদ্যোগ : দাগ বা চিহ্ন দূর করার লোশন
(Spot & Stain Remover Lotion)

উপকরণ
ন্যাপথা সলভেন্ট (Naphtha Solvent) : ৫৭%
পানি (Water) : ৪০%
সোডা সোপ (Soda Soap) : ০.১%
গ্লিসারিল মনো-ওলিট (Glyceryl Mono-oleate) : ১.৯%
সালফেটেড অয়েল (Sulphated Oil) : ০.৩%


পদ্ধতি
৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপে গ্লিসারিল মনো-ওলিট ও ন্যাপথা সলভেন্ট উত্তমরূপে মিশিয়ে নিতে হবে। অপর একটি পাত্রে পানি ৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপে গরম করে বেশ কিছুক্ষণ নেড়ে ন্যাপথা সলভেন্ট মিশ্রণটি ঢালতে হবে। তারপর ঠান্ডা না হওয়া পযর্ন্ত নাড়াচাড়া করতে হবে।

ব্যবহারের নিদের্শ
যে অংশের দাগ দূর করতে হবে, সেই অংশের নীচে একটি কাপড়ের প্যাড রাখুন, এবং অপর একটি পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বা তুলো উপরের লোশন ভিজিয়ে নিয়ে দাগের জায়গায় ধীরে ধীরে ঘষতে থাকুন এবং পরে জায়গাটি ধুয়ে নিন। এই লোশনটি গন্ধহীন। তাছাড়া এটি ব্যবহারে মূল্যবান বস্ত্রাদির কোনরূপ ক্ষতি হবে না বা রং নষ্ট করবে না।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

ড্রাই ক্লীনিংয়ের জন্য মিশ্রণ

ড্রাই ক্লীনিংয়ের জন্য মিশ্রণ
(Dry Cleaning Fluids)

উপকরণ
কাবর্ন টেট্রা ক্লোরাইড (Carbon Tetra Chloride) : ২ কি. ৭০০ গ্রাম
গ্যাসোলিন (Gasoline) : ১ কি. ৮০০ গ্রাম
ক্লোরোফর্ম (Chloroform) : ১ পাইট
পারফিউমিং অয়েল (Perfuming Oil) : ৬০ গ্রাম
অয়েল অফ বার্গামেট (Oil of Bergamot) : ২ গ্রাম
অয়েল অফ রোজমেরী (Oil of Rosemary) : ১ গ্রাম
লবঙ্গ তেল (Oil of Clones) : ১ গ্রাম
তিক্ত বাদামের তেল (Oil of Bitter Almonds) : ১ গ্রাম


পদ্ধতি
উপরোক্ত দ্রব্যাদি Mixer for Liquid Detergents যন্ত্রের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন পাত্রে রেখে উত্তমরূপে মিশিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহারের নিদের্শ
ড্রাই ব্রাশের সাহায্যে যন্ত্র বা পোশাকের ধুলো ময়লা আগে ঝেড়ে নিতে হবে, তারপর নরম কাপড়ের টুকরো বা তুলো তরল মিশ্রণে ডুবিয়ে বস্ত্র বা পোশাকটি উত্তমরূপে ঘষতে হবে। বস্ত্র বা পোশাকের নীচে একটি পরিষ্কার সাদা কাপড় রাখতে হবে-যাতে অতিরিক্ত তরল পদার্থ শুষে নিতে পারে।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

পরিষ্কার করার মিশ্রণ

উদ্যোগ : পরিষ্কার করার মিশ্রণ
(Cleaning Compound)

উপকরণ
ক্যাস্টাইল সোপ (Castile Soap) : ১২০ গ্রাম
পানি (Water) : ২ পাইন্ট
অ্যামোনিয়া (Conc. Ammonia -26°) : ১২০ গ্রাম
ওলিক এসিড (Oleic Acid) : ৩০ গ্রাম
গ্লিসারিন (Glycerin) : ১২০ গ্রাম
মিথাইল অ্যালকোহল (Methyl Alcohol) : ২৪০ গ্রাম
কাবর্ন টেট্রা ক্লোরাইড (Carbon Tetra Chloride) : ৫ কি. ৪০০ গ্রাম

পদ্ধতি
উত্তপ্ত পানিতে ক্যাস্টইল সোপ অনায়াসেই গলে যায়। সেই উত্তপ্ত পানি ঠান্ডা হয়ে ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট হলে – ঐ পানির সাথে ওলিক এসিড ও গ্লিসারিন উত্তমরূপে মেশান। তারপর মিথাইল অ্যালকোহল ঢালুন ও মেশান। কাবর্ন টেট্রা ক্লোরাইডসহ বারবার নাড়াচাড়া করতে থাকুন। নাড়তে নাড়তে ইমালশানের মত হবে। যাতেই প্যাক করুন, ওপরে লেবেলে লেখা থাকবে, “ব্যবহার করার আগে উত্তমরূপে নেড়েচেড়ে নিন” (Shake well before using)।
ব্যবহারের নিদের্শ
স্পঞ্জের সাহায্যে ঘষে ঘষে যে সকল দ্রব্যাদি পরিষ্কার করা হয়- সেক্ষেত্রে উপরোক্ত ক্লীনিং কম্পাউন্ডটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খুব ময়লা জায়গা ঘষার জন্য শক্ত ব্রাশ (Stiff Brush) দিয়ে এই ক্লীনিং কম্পাউন্ডটি ব্যবহার করতে হবে, তারপরে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

দুর্গন্ধনাশক ও জীবানুশোধক তৈরী

দুর্গন্ধনাশক ও জীবানুশোধক তৈরী
(Deodorant & Disinfectant)


উপকরণ
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট (Calcium Hypochlorite)-১৫ কেজি
লাইট সোডা অ্যাশ (Light Soda Ash)-১০ কেজি
পানি (Water)-৩০ লিটার

পদ্ধতি
৩০ লিটার পানিকে প্রথমে দুটি পাত্রে রাখুন। প্রথম পাত্রের পানির সঙ্গে ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট মেশান আর দ্বিতীয় পাত্রের পানির সঙ্গে লাইট সোডা অ্যাশ মেশান। তারপর অপর একটি পাত্রে উভয় পাত্রের মিশ্রণটি ঢালুন এবং মেশান। তারপর থিতোতে দিন। উপরকার পরিস্রুত সলিউশনটি পলিথিন বা প্লাস্টিকের পাত্রে ভরুন।

ব্যবহারের নিদের্শ
এই সলিউশন সফট ড্রিঙ্কের বোতল, চীনেমাটির বাসন-পত্রাদি ধোওয়া, জীবানুমুক্ত ও দুর্গন্ধমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

চীনেমাটির ও কাচের তৈরী বাসনপত্র ধোওয়ার জন্য মিশ্রণ

উদ্যোগ : চীনেমাটির ও কাচের তৈরী বাসনপত্র ধোওয়ার জন্য মিশ্রণ
(Dish & Glass Washing Compound)


উপকরণ
হাইগ্রেড সোডিয়াম সেস্কুইকাবোর্নেট (High grade Sodium Sesqui-carbonate)-৭ কেজি
ক্যালসিয়াম হাইপোক্লারাইট (Calcium Hypochlorite)-২ কেজি

পদ্ধতি
উভয় প্রকার পাউডার মিহি করে চালুনি দিয়ে ছেকেঁ নিয়ে একত্রে মেশাতে হবে। তারপর প্রয়োজনমত সিলোফেন পেপারে প্যাক করে বিক্রি করা চলবে।

ব্যবহারের নিদের্শ
৪.৪৫ লিটার জলের সঙ্গে এক বড়ো চামচের (Table Spoon) এক চামচ মিশ্রণটি মেশাতে হবে। এর দ্বারা চীনেমাটির তথা কাচের তৈরী বাসনপত্রাদি ধোওয়াও হবে এবং জীবাণুমুক্ত করাও সম্ভব হবে।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

স্যানিটারি দ্রব্যাদি পরিষ্কারক

উদ্যোগ : স্যানিটারি দ্রব্যাদি পরিষ্কারক
(Sanitary Household Cleaner)


উপকরণ
হাইড্রেটেড সোডিয়াম সেস্কুইকাবোর্নেট (Hydrated Sodium Sesqui-carbonate)-৫১.৯%
সোডিয়াম সোপ (Sodium Soap)-১.৫%
পাইন অয়েল (Pine Oil)-৩.১%
অক্সিক্লোস্টারিন অ্যাবজরপশান বেস (Oxychlosterin Absorption Base)-১.০%
অংশত হাইড্রেটেড ট্রাইসোডিয়াম ফসফেট (Partially Hydrated Trisodium Phosphate)-৪২.৫%

পদ্ধতি
বারবার চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে মিহি অবস্থায় সকল দ্রব্যাদি একত্রে মেশাতে হবে। সারারাত মিশ্রণটি একত্রিত অবস্থায় রাখতে হবে।

ব্যবহারের নিদের্শ
সাধারনভাবে পরিষ্কার করার জন্য ৪.৫৫ লিটার উষ্ঞ পানির সাথে ১ বড় চামচ (Table Spoon) পাউডার মেশাতে হবে। অত্যন্ত দাগযু্ক্ত স্যানিটারী দ্রব্যাদি ধোওয়ার জন্য ৪.৫৫ লিটার উষ্ঞ পানির সাথে বড় চামচের দেড় চামচ পাউডার মেশাতে হবে।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

ওয়াশিং পাউডার

উদ্যোগ : ওয়াশিং পাউডার
(Washing Powder)


উপকরণ
অ্যানহাইড্রাস সোপ পাউডার (Anhydrous Soap Powder)-৬৭.৪৫%
সোডিয়াম ক্লোরাইড (Sodium Chloride)-১.১%
টেট্রা সোডিয়াম পাইরোফসফেট (Tetra Sodium Pyrophosphate)-৭.৪%
সোডিয়াম মেটাসিলিকেট (Sodium Metasilicate)-১৭.৫%
ফ্লুরোসেন্ট ডাই-অপটিকাল ব্লীচ (Fluorescent dye-optical bleach)-০.০০২%

পদ্ধতি
উপরোক্ত দ্রব্যাদি উত্তমরূপে একত্রে মেশাতে হবে।

ব্যবহারের নিদের্শ
এটি একটি ভালো ডিটারজেন্ট পাউডার। বেশি না কেচেও এতে খুব ভালোভাবে কাপড়-জামা পরিষ্কার করা যায়। কাচার জন্য পরিশ্রম করতে হয় না।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি

উদ্যোগ : ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি
(Detergent Powder)

উপকরণ
সোডিয়াম ট্রিপলিফসফেট (Sodium Triployphosphate)-৩৪.০%
টেট্রা সোডিয়াম পায়রোফসফেট (Tetra Sodium Pyrophosphate)-৬.৬০%
ডিসোডিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট (Disodium Hydrogen Phosphate)-৯.৪০%
সোডিয়াম সালফেট (Sodium Sulphate)-১৩.৯৫%
সোডিয়াম কাবোর্নেট (Sodium Carbonate)-১.৫০%
সোডিয়াম সিলিকেট (Sodium Silicate 1:3,25 ratio)-৩.৯৮%
সোডিয়াম কাবর্ক্সমিথল সেলুলোজ (Sodium Carboxmethyl Cellulose)-০.৫৫%
সোডিয়াম এল্কিল এরিল সালফোনেট (Sodium Alkyl Aryl Sulphonate)-১৮.৭৫%
ফেটি-অ্যামাইড কন্ডেন্সেট (Fatty-amide Condensate)-২.৪৫%
ফ্লুরোসেন্ট ডাই-অপটিকাল ব্লীচ (Fluorescent dye-optical bleach)-০.০০৫%

পদ্ধতি
সূক্ষ্ম চালুনি দিয়ে ছেকেঁ নিয়ে উপরোক্ত দ্রব্যাদি ভালোভাবে মিশ্রিত করতে হবে। বেশি পরিমাণে ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করতে হলে মিক্সিং (Mixing Machine) এবং শিফটিং মেশিন (Shifting Machine) ব্যবহার করা কর্তব্য।


ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি – দ্বিতীয় প্রণালী
(Detergent Powder – Second Method)

[এই ডিটারজেন্ট পাউডারের সাথে Water Softener বা সাবান মেশাবার প্রয়োজন হয় না]

উপকরণ
সালফেটেড কোকোনাট অয়েল মনোগ্লিসারাইড (Sulphated Coconut Oil Monoglyceride)-৩১.৫%
অ্যানহাইড্রাস সোডিয়াম সালফেট (Anhydrous Sodium Sulphate)-৬৫.৯%
সোডিয়াম ক্লোরাইড (Sodium Chloride)-১.৪৫%
ফ্লুরোসেন্ট ডাই-অপটিকাল ব্লীচ (Fluorescent dye-optical bleach)-০.০০২%

পদ্ধতি
উত্তমরূপে ছেকেঁ নিয়ে উপরোক্ত দ্রব্যাদি একত্রে মেশাতে হবে। বেশি পরিমানে এ ধরনের ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করতে হলে শিফটিং মেশিন (Shifting Machine) ব্যবহার করা কর্তব্য।

ব্যবহারের নিদের্শ
আগে বস্ত্রাদির বিশেষ দাগযুক্ত অংশ তুলে নিন। তারপর গরম পানিতে ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রিত করুন। পশমী বস্ত্র বা পোশাক এবং মূল্যবান সূতী বস্ত্রাদি ধোওয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করা সঙ্গত। লিনোলিয়াম, কাঠের খোদাই করা কারুকায এবং চিত্রিত দেয়াল পরিষ্কার করার জন্যও এই ডিটারজেন্ট পাউডারটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

উদ্যোগ : মরিচা তোলার রং

উদ্যোগ : মরিচা তোলার রং
(Rust Remover Paint)

[বস্ত্রাদি, কম্বল, মাবের্ল বা পোর্সিলিন থেকে মরিচার দাগ, কালির দাগ, ফলের দাগ বা অন্যবিধ দাগ তোলার জন্য।]

উপকরণ
পটাসিয়াম অক্সালেট (Potassium Oxalate) : ৫ কেজি
মেথোসেল (Methocel) : ৫ কেজি
পানি (Water) : ৪০ লিটার


পদ্ধতি
উপকরনগুলো একটি ড্রামে ২৪ ঘন্টা রেখে মাঝে মাঝে নাড়ুন, জেলীর মতো হয়ে এলে কোলাপসিবল টিউবে (Collapsible Tube) প্যাক করুন।

ব্যবহারের নিদের্শ
মরচে বা অন্যবিদ ভাবে দাগ লেগেছে-এরূপ জায়গাটা প্রথমে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন, তারপর রাস্ট রিমুভার পেইন্টটি আস্তে আস্তে ঘষে লাগান। পনেরো মিনিট কাল ঐ অবস্থায় রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানিতে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

তথ্যসূত্র : কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কুটীর শিল্প’ গাইড।

জিনসেং

জিনসেং


জিনসেং মানব দেহ আকৃতির এক ধরনের গাছ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হার্বস জিনসেং এর বৈজ্ঞানিক নাম Panax ginseng Mey. প্যানেক্স (গ্রীক শব্দ প্যানেক্স থেকে উৎপত্তি) এর অর্থ সর্বরোগ বিনাশক।


চীনের বেইজিং থেকে ১০০০ মাইল উত্তরে জিনসেং প্রদেশের জিনসেং (বরফ আচ্ছাদিত) পাহাড়ে জিনসেং প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। জিনসেং সর্বরোগ বিনাশ করে। বিশেষ করে যে কোন বয়সের দুর্বল রোগী/মানুষকে সবল করতে সক্ষম। যৌবন ধরে রাখার আশ্চর্যজনক ভেষজ জিনসেং। শরীরের কর্মক্ষমতা ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

ঔষধি উদ্ভিদভিত্তিক রোগে ব্যবহার

ঔষধি উদ্ভিদভিত্তিক রোগে ব্যবহার


অশোক - Saraca asoca (Roxb.) de Wilde
ব্যবহার্য অংশ - ছাল, বীজ, পাতা
কার্যকারিতা : আমাশয়, পাইলস, সিফিলিস, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ও শ্বেত প্রদরে কার্যকরী।


অনন্তমূল - Hemidesmus indicus (L.) R. Br.
ব্যবহার্য অংশ - মূল পাতাসহ গাছের সমস্ত অংশ
কার্যকারিতা : রক্ত পরিষ্কারক, মূত্রকারক, শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে কার্যকরী।


অর্জুন - Terminalia arjuna (Roxb. ex Dc) Wight & Arn.
ব্যবহার্য অংশ - ছাল। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ পাতা ও ফল
কার্যকারিতা : বাকল উচ্চ রক্তচাপে কার্যকরী ও হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এজিং কোড ভেঙ্গে বার্ধক্য (পজ) প্রতিরোধের উপায়

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এজিং কোড ভেঙ্গে বার্ধক্য (পজ) প্রতিরোধের উপায়


পজের নাম : কার্ডিওপজ
শারীরিক প্রতিক্রিয়া : হৃদপিন্ডের স্পন্দন হার কমে যায়

পজের বিরুদ্ধে কার্যকর উপাদান :
ভিটামিন-এ : উৎস- সবুজ শাক-সবজি, পাকা আম, পাকা কলা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, আনারস, মিষ্টি আলু, যকৃত, পনির, মাখন, ডিম, দুধ।
ভিটামিন-সি : উৎস- আমলকী, কমলা, লেবু, টমেটো, ব্রকলি।
ভিটামিন-বি৩ : উৎস- লিভার, চর্বিহীন, মাংস, শস্য, বাদাম, মাছ, ডিম, সূর্যমুখীর বীজ ও তেল।
ভিটামিন-বি৩ : উৎস- কলা, গম, বাধাকপি, শিমবীজ, ডিম, দুধ, মাছ, যকৃত, ভাতের মাড়।
ম্যাগনেশিয়াম : উৎস- সয়াবিন বীজ, সবুজ শাক-সবজি, শস্য জাতীয় খাবার, বাদাম, চিংড়ী মাছ।
জিংক : উৎস- ডাল, যব, ভুট্টা, শিম বীজ, বাদাম, আদা, সবুজ শাক-সবজী, দুধ, ডিম, মাংস, মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও ভাতের মাড়।
সেলেনিয়াম : উৎস- অঙ্কুরিত গম, গমের ভূষি, গমের রুটি, পিয়াজ, রসুন, টমেটো, ব্রকলি, টুনা মাছ ও ভাতের মাড়।
পটাশিয়াম : উৎস- কলা, সবুজ শাক-সবজী, ফলের জুস, বাদাম, কচি ডাব, ডুমুর, আলুর খোসা ও ভাতের মাড়।
টরিন : উৎস- এটা প্রধানত দেহে (পিত্ত) তৈরী হয়। এছাড়া মাছ, মাংস ও ডিমেও পাওয়া যায়।
ক্রোমিয়াম : উৎস- মাশরুম, চিটাগুড়, যকৃত, মাংস, পনির, ডিমের কুসুম ও শস্য জাতীয় খাবার।
মলিবডেনাম : উৎস- অঙ্কুরিত গম, শিম, ডাল, শস্য, ডিম ও যকৃত।

ঔষধি উদ্ভিদভিত্তিক রোগে ব্যবহার

ঔষধি উদ্ভিদভিত্তিক রোগে ব্যবহার


অশোক - Saraca asoca (Roxb.) de Wilde
ব্যবহার্য অংশ - ছাল, বীজ, পাতা
কার্যকারিতা : আমাশয়, পাইলস, সিফিলিস, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ও শ্বেত প্রদরে কার্যকরী।


অনন্তমূল - Hemidesmus indicus (L.) R. Br.
ব্যবহার্য অংশ - মূল পাতাসহ গাছের সমস্ত অংশ
কার্যকারিতা : রক্ত পরিষ্কারক, মূত্রকারক, শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে কার্যকরী।


অর্জুন - Terminalia arjuna (Roxb. ex Dc) Wight & Arn.
ব্যবহার্য অংশ - ছাল। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ পাতা ও ফল
কার্যকারিতা : বাকল উচ্চ রক্তচাপে কার্যকরী ও হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক।

ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায়

ফর্মালিন (-CHO-)n হল ফর্মালডিহাইডের (CH2O) পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মত। পানিতে সহজেই দ্রবনীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফর্মালিনের জলীয় দ্রবনকে ফর্মালিন হিসাবে ধরা হয়। ফর্মালিন সাধারনত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক:
  • ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
  • ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
  • ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
  • মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে।
  • ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল সামগ্রী সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা দিন দিন কমছে।
  • গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
  • এ ধরনের খাদ্য খেয়ে অনেকে আগের তুলনায় এখন কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভুগছেন। দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিন পরপর একই রোগী ডায়রিয়ায় ভুগছেন, পেটের পীড়া ভালো হচ্ছে না, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্তিতি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে করা যায় যেমন-
  1. ফরমালডিহাইডের দ্রবণের সঙ্গে ২ সিসি ফিনাইল হাইড্রোজাইন হাইড্রোকোরাইড (১%) এবং ১ সিসি ৫% পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাড দিয়ে তারপর ৫ সিসি ঘনীভূত হাইড্রোকোরিক অ্যাসিড মেশালে পুরো দ্রবণ গাঢ় গোলাপী রঙ হয়ে থাকে। একে বলা হয় সেরিভারস্ টেস্ট।
  2. ফরমালডিহাইডের হালকা দ্রবণ যেমন মাছে ফরমালিন দেয়া আছে তা ধুয়ে তার পানিতে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে গাঢ় সবুজ নীল রঙ ধারণ করে। এতে ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।
এ সমস্ত কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট পাওয়া খুব কঠিন এবং দামও অনেক বেশী। তাই সহজ এবং সাধারণ একটি পদ্ধতি বের করা যায়। যেমন সন্দেহযুক্ত ফরমালিন মাছ ধুয়ে পানিতে ৩% (ভলিউম) হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। ফরমিক এসিড প্রমাণের জন্য সে পানিতে অল্প মারকিউরিক কোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন।
এখন কথা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালনিরে উপস্তিতি পরীক্ষার উপকরণগুলো সহজলভ্য নয় । আর সবচেয়ে বড় কথা, কেনার সময় যদি সাথে করে এসব নিয়ে যেতে হয় তাহলে হয়তো কেনাটাই ছেড়ে দিতে হবে।
কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন-

  1. ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল র্বণ , চোখ ও আঁইশ উজ্জ্বল হয়,শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়,মাছের দেহ নরম হয় । অন্যদিকে ফরমালিনযুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর, চোখ ঘোলাটে ও ফরমালনিরে গন্ধ পাওয়া যায় হয়,আঁইশ তুলনামূলক ধূসর র্বণরে হয় ,শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ তুলনামূলক শক্ত হয় ।
  2. পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
  3. লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
  4. প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
  5. সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।
কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন-
  1. যে ধরনের রাসায়নিক দেয়া হোক না কেন যদি একটু আমরা একটু সচেতন হই তাহলে ফল খাওয়া সম্ভব। আমাদের যা করতে হবে তা হল- খাওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশী সময় ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
  2. লিচু কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকার পর হয় ইটা লাল। এখন গাছে রাসায়নিক স্প্রে করে যার ফলে লিচু গাঁড় মেজেনটা রং ধারন করে তা বড়ই মনমুগ্ধকর। কিন্তু  চকচক করলে সোনা হয় না সেটা মনে রেখে কখনোই গাঁড় মেজেনটা রঙ্গের লিচু কেনা যাবে না।
  3. সবজি রান্না করার আগে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
  4. বেগুনে এক ধরনের রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করা হয় । এই রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার ক্ষতিকর না যদি নিয়মানুসারে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকেরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ। তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। প্রতিটি কীটনাশকের ক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকে।
    যেমন- একটি কীটনাশকের সেলফ লাইফ বা জীবন সীমা ৭দিন, তার মানে কীটনাশকটা ব্যবহারের ৭দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, যা কীটপতঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। তাই কৃষকদের উচিত কীটনাশক ব্যবহারের অন্তত ৭দিন পর ফলন তোলা। কিন্তু তারা তা না করে ২-১ দিনের মাঝেই ফলন তোলেন। ফলে কীটনাশকের ক্রিয়া ক্ষমতা  থেকে যায়, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। তাই বাজারে সতেজ, উজ্জ্বল বেগুন না কিনে কিছুটা অনুজ্জ্বল,  পোকায় কিছুটা আক্রান্ত এমন বেগুন কেনাই ভালো।

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ?

“আসসালামু আলাইকুম”
আবারো হাজির হলাম আপনাদের সামনে…আমার নবম পোস্ট নিয়ে…
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন ?
চলুন এখন মূল পোস্টে যাওয়া যাক…
আজ আমি খুব কমন একটা রোগ “গ্যাস্ট্রিক” থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো…
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশের একটা কমন রোগ। আসলে এটা কোন রোগ না। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। অন্য যেকোন রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবেনা। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি অ্যাসিডিটি মুক্ত থাকবেন ইনশাল্লাহ
আসুন দেখে নেই নিয়মগুলো কি কি
১। আজ যে সময় খাবার খেলেন কালও ঠিক সেই সময়েই খাওয়ার অভ্যাস করুন। এভাবে প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলার খাবার গ্রহণ করুন।
২। তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যদি তা নাও পারেন সমস্যা নেই। তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
৩। মাংস, ডিম, বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার যাই খান না কেন; সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হয় হালকা টাইপের। শাক-সবজি,ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনু সাজান।
৪। যদি সাইনাসের সমস্যা না থাকে তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশী ঠান্ডা পানি যেন না হয়। তবে গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক।
৫। ভাত খাওয়ার আগে এক বা দু গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তারপরে ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে বেশী করে দেখা যায়। এটা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।
৬। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরী হবেনা। যেমন- শাক-সবজি, কলা, ঢেড়শ ইত্যাদি
৭। সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। তাও যদি খেতে হয় চেষ্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পুরণ করতে।
৮। বাজারে পাওয়া যায় দেশে তৈরী সমস্ত জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।
৯। দেশে তৈরী আইসক্রীম অনেকে রাতে খাওয়ার পরে খেতে পছন্দ করেন। এটা বাদ দেয়াটাই মঙ্গল।
১০। দিনে কিংবা রাতে- খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করুন। কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর শুতে যান।
নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করুন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
পোস্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশ হয়েছে নিচের এই ফেসবুক পেজটিতে…চাইলে লাইক করতে পারেন… icon smile গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ? কিছু পরামর্শ, শুধুই আপনার জন্য..
আপনি জানেন কী ? (General Knowledge)
আজকের মতো এই পর্যন্তই…
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন; যেন আপনাদের সামনে আবারো নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে পারি…
“আল্লাহ হাফেজ”

মস্তিষ্ক উন্নয়নে কিছু মজার টিপস……..

সালাম ও শুবেচ্ছা জানিয়ে শুরুকরছি  একটি মজার টিউন যেটি আপনাদের প্রত্যেকের অবশ্যই কাজে লাগবে……কারণ সবাই চাই তার মস্তিষ্ক যেন সব সময় ঠিক থাকে বিকৃত না হয়….সুতারাং আমার মতে সবার উপকারে আসবে এই টিউনটি পড়লে …
GI+web+the+brain মস্তিষ্ক উন্নয়নে কিছু মজার টিপস........

আমাদের প্রত্যেকেই চায়  যে আমাদের ব্রেইন যেন সব সময় সুস্থ থাকে সেই জন্য আমাদের সব চেয়ে যেটি প্রয়োজনীয় দেখার জিনিস সেটি হল আমাদের খাবার প্রণালী কারণ এটার উপর নির্ভর করে আমাদের ব্রেইনের সুস্থতা এবং উন্নতি ….নিন্মে দেয়া হল …
মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের মতে, কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য খেলে মেধাশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন মস্তিষ্কের জন্য ৪০০-৯০০ মিলিগ্রাম কোলিন প্রয়োজন। একটি হাঁস বা মুরগির ডিমে ৪০০ মিলিগ্রাম, ছোট দু’টুকরা মাছ থেকে ১০০ মি. গ্রা. ৪-৫টি যকৃতের টুকরায় ৬০০ মি. গ্রা. কোলিন থাকে। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, সয়াবিন, দুধ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর কোলিন থাকে। বিশেষ করে সয়াবিন নিয়মিত খেলে শেখার, বুঝার ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধ বয়সে ভিটামিন ‘বি’-এর অভাব হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ডাল, শস্যদানা, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, চাল, গম, কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাদ্যে। ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে মস্তিষ্কের বাস্তবের সাথে বুঝার ক্ষমতা অনেকাংশে লোপ পায়। ভিটামিন সি বেশি থাকে আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, আম, লেবু, বাতাবি লেবু, জলপাই ইত্যাদিতে। মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে আয়রনের প্রয়োজন। মস্তিষ্কের মধ্যে সবসময় শরীরে রক্তের প্রায় ২০ ভাগ রক্ত চলাচল করে। রক্ত শোধনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। রক্তের লাল রঙের উপাদান হিমোগ্লোবিন হলো অক্সিজেনের বাহক। আয়রন হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের প্রধান সৃষ্টিকারী।
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে মনোযোগ ও নতুন কিছু বুঝা বা শেখার আগ্রহ কমে যায় এবং মনের চঞ্চল ভাবটাও নষ্ট হয়। কথাবার্তায় আদব-কায়দা হ্রাস পায়। আয়রন বেশি থাকে কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, কলা, নটেশাক, মূলাশাক, বরই, তরমুজ, বরবটি, গুড় ইত্যাদি খাদ্যে। এসব আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে সহজেই হজম হয়। বোরন ও জিংক স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপেল, আঙ্গুর, ডাব, টমেটো, গম, দুধ এসব খাদ্যে বোরন ও জিংক থাকে। ১০ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ালে স্মরণশক্তি বাড়ে। গর্ভবতী মহিলারা কোলিনসমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য খেলে গর্ভের শিশু মস্তিষ্ক গঠনের সময় স্মরণশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উপাদান সৃষ্টি হয়। বয়স্কদের জন্য মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তেল, চর্বি, ঘি জাতীয় খাদ্য স্মরণশক্তি হ্রাস করে। চর্বি জাতীয় খাদ্য উপাদান রক্তের সাথে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কের অত্যন্ত সূক্ষ্মবাহী নালীগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে। খাবারে মিশ্রিত কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মানুষের স্মরণশক্তিকে মুছে ফেলে। মস্তিষ্কের প্রোটিন তৈরির সময় অ্যালকোহল বাধা দেয়। ফলে নতুন স্নায়ুকোষ জন্মাবার সম্ভাবনা চিরদিনের জন্যই বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের ওষুধ স্মরণশক্তি হ্রাস করে।
***মস্তিস্ক সুস্থ রাখতে যা করনীয় তা হচ্ছেঃ
০ প্রতিদিন স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাবার খেতে হবে।
০ প্রতিদিন অন্ততঃ ৮ গ্লাস পানি পানসহ টি, কফি খেতে হবে অথবা রং চা তথা দূধ ছাড়া ।
০ মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং মাঝে মধ্যে মস্তিস্ককে অবসর দিতে হবে।
০ প্রতিদিন কোন ভালো ভিটামিন ও ব্রেইন সাপ্লিমেন্ট সেবন করা যেতে পারে।
০ প্রতিদিন মেসওয়াক করতে হবে জয়তুন গাছের ঢাল দিয়ে অথবা নিম গাছের ঢাল দিয়ে।
০সকালে নামাজের পর খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা কারণ মনিষীরা বলে যে সকালের হাওয়াটা মানুষের জ্ঞানী হওয়ার এক অমূল্য সম্পদ।
০ আমাদের মুখ ও নাক  সব সময় পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে আমরা আরেকটি কথা হয়ত অনেকে জানি যে আমাদের শরীরের বাতাস আদান প্রদানে ফিল্টার মেশিন হল আমাদের নাকের লোম গুলো কেননা আমরা সারাদিন যে নিস্বাশ টানি তাতে বাহ্যিক  হাওয়া আমাদের শরীরে আদান প্রদান নাকের মাধ্যমে হয় এক্ষেত্রে নাকের লোম গুলো এবং নাকের ভিতরে একটি পর্দা থাকে যেটি   বাতাস ফিল্টার করে সুস্ক বাতাস আমাদের শরীরের ভেতর প্রবেশ করাতে সাহায্য করে….
***মস্তিষ্ক উন্নয়নে যা যা খেতে হবেঃ
০খাঁটি মধু প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খেতে হবে।
০ মিস্টি জিনিস তথা খেজুর, সাদা মিস্টি মাঝে মাঝে খেতে পারেন কারণ মেডিকেল সাইন্স বলে মিস্টি জিনিস ব্রেইন উন্নয়নে সাহায্য করে ।
০ রান্নাকৃত  মসরের ডাল যাতে পানি বেশি থাকতে হবে অর্থাৎ ডালের পানি বেশি করে খেতে হবে।
০ পোড়া বাজা কম খেতে হবে এবং লাল মরিচ যুক্ত তরকারি কম খেতে হবে, এবং সবুজ শাক শবজি বেশি করে খেতে হবে।
এই নিয়ে পারলে পরে আরও কিছু টিউন লিখব………..সবাই ভাল থাকবেন এই কামনায় রইল……………
বিদ্রঃ কয়েকটি বই এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তখ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে….আসা করি কেউ এটাকে ভূল চোখে দেখবে না………..

সাপে কামড়ালে করনীয় কি ?

সাপে কামড়ালে করনীয় কি ?
সাপের কামড়ে সাধারন মানুষের পাশাপাশি অনেক সাপুড়ের মৃত্যুর কথা শোনা যায় । তবে এনাকন্ডার মত বড় বড় সাপের কামড় খেয়ে বেঁছে আছে অনেক বিদেশী সাপুড়ে কিন্তু হারাতে হয়েছে তাদের তর্জনী আঙ্গুল । সাপে কামড়ালে তারা বেদেদের কাছে যায়না যাই হাস্পাতালে সাধারন ডাক্তারের কাছে । আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তার এক রকম মফিজ , তাই ওদের নিয়ে কথা বাড়াবোনা ।
সাপে কামড় দিলে প্রথমে পায়ে তার পর তর্জনী ও বিদ্ধা আঙ্গুলে বাঁধন দিবেন ।হাতে কামড় দিলে কব্জির ওপরে বাঁধন দিবেন বাড়তি সাবধানতার জন্য । রোগীকে ঘুমুতে দিবেন না । চালের ঘরের মত কোন প্রকার বাঁধন দেয়া ঘরের ভীতরে প্রবেশ করতে দিবেন না । পাশে যদি ডাক্তার বা গুণী থাকে তাদের কাছে নিয়ে যাবেন ।
যদি না থাকে নিজে একটা রিস্ক নিতে পারেন । সাপের বিষের একটি সাধারন বৈশিষ্ট্য হল রক্তের সাথে মিশতে শুরু করে পায়ের তালু থেকে । আর কামড় দেবার সাথে সাথে যদি বাঁধন দিতে পারেন তবে তো আপনি বাংলা হিন্দি সিনেমার নায়ক হয়ে যাবার সুযোগ পাবেন । এর মূল মন্ত্র হল বিষ মিশ্রিত রক্ত বেড় করা , আপনার দাঁত যদি ভাল থাকে অর্থাৎ মাড়ি দিয়ে যদি রক্ত না পড়ে । মুখ দিয়ে রক্ত টেনে বেড় করতে চেষ্টা করুন । ভয় নেই সিনেমার নায়কদের মত আপনিও মরবেন না । এভাবে বিষ টেনে বেড় করলে (রোগ টির নাম ভুলেগেছি অনেক আগে পেপারে পড়েছিলাম তো) সেই রোগের প্রতিসেধক হিসেবে কাজ করবে । সামান্য মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে আপনার মানুষিক ভিতির কারনে ।
আপনি নিশ্চিত নয় যে সম্পূর্ণ বিষ উঠেছে । তাই একটি ব্লেড দিয়ে এক্স চিনহের মত কয়েক জায়গা কেটে দিন রক্ত বেড় করতে থাকুন । যদি কালো রক্ত বেড় হয় ভাববেন বিষ আছে । লাল রক্ত বেড় হওয়া পর্যন্ত রক্ত বেড় করুন ।
২। আরও ভাল হয় যদি আপনি রোগীর পায়ের বুড় থেকে তিনটি আঙ্গুলে পাট বেঁধে মাদারের কাঁটা দিয়ে ফুড়ে ফুড়ে রক্ত টেনে বেড় করতে পারেন । কিন্তু সেই পাট বাধার নিয়ম আছে । আপনার পরিচিত কোন গুনির কাছে শিখে নিতে হবে । (শুনেছি মাদারের কাঁটা নাকি সাপের বিষের জম । তাই গুণীরা মাদারের কাঁটা ব্যাবহার করে থাকে । )
বাড়তি সাবধানতার জন্য কিন্তু ডাক্তারের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে ভুলবেন না । তবে যদি দেখেন সাপের কামড়ে একাধিক ছিদ্র রয়েছে তবে ভয় নেয় । বিষাক্ত সাপে কামড়ালে দুটি ছিদ্র হবে । মনে রাখবেন যে সাপের লেজ চিকন সেই সাপে বিষ বেশী ।
যায় হোক সাপ মারবেন না । সাপ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ও খুব মুল্যবান । সাপের উপদ্রব আপনার দৃষ্টি গোচর হলে সাপুড়ে বা যারা সাপের চাষ করে তাদের বলুন । ওরা ধরে নিয়ে যাবে ।

ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !

চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
bxp27377 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !

ধরুন আপনি কোনো কাজে বা অকাজে বাইরে এমন একটা জায়গায় আছেন যেখানে হাতের কাছে কোন ডাক্তার বা ওষুধের দোকান নেই। আর আপনার কাছেও কোন ওষুধ নেই। এদিকে মাথার যন্ত্রণায় আপনার নিজের মাথা ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কী করবেন ?
কিম্বা ধরুন : আপনি এই মুহূর্তে ট্রেনের মধ্যে । এদিকে মাথা-ব্যথায় মাথা কেটে ফেলার জোগাড়। কিন্তু ব্যাগেতো ওষুধ নিয়ে বের হননি।
u10098399 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
বা মনে করুন বাড়িতে কেউ একজন খুব অসুস্থ।রাত জেগে আপনার মাথা এমন যন্ত্রণা করছে আপনি চুপ করে থাকতে পারছেন না।কিন্তু তার অসুস্থতাটা এতই বেশি যে আপনার প্রচন্ড মাথাযন্ত্রণা করলেও সেখানে আপনার কথা জানাতে পারছেন না।
হয়তো এমন হল আপনার কোনো কাছের মানুষ মাথার যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যখন তখন ওষুধ খেতে পছন্দ করেন না ( অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়াও উচিত নয়)। কী করবেন ? কেবল বসে বসে তার কষ্ট দেখবেন ?
k3237339 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
চলুন দেখি কিছু করা যায় কিনা ।
কেন মাথা-যন্ত্রণা ?
মাথার যন্ত্রণা নানা কারণেই হতে পারে। ঠাণ্ডা লাগলে ,বদহজম-গ্যাস-অ্যাসিড হলে , টেনশন করলে ইত্যাদি ইত্যাদি। বলে শেষ করা যাবেনা।
মূল বিষয় হল এটা- আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ড থেকে শরীরের নানা অংশে রক্ত সঞ্চালিত হয়।যখন সেটা উপরোক্ত বা তার বাইরের নানা কারণের জন্য বিঘ্নিত হয় তখন নানা ধরণের সমস্যার সূত্রপাত।মাথার যন্ত্রণাও তাই।
 k6198083 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
ওষুধ ছাড়া কিভাবে নিরাময় করা যেতে পারে ?
তাহলে দেখা গেল শরীরের নানা অংশে অক্সিজেন সহ রক্ত সঞ্চালনের অসুবিধা হওয়ার জন্যে এই সমস্যা। যদি এই সমস্যাটা দূর করা যায় তবে সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব।
কিন্তু কী ভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করা যেতে পারে ?
অ্যাকিউপ্রেসার পদ্ধতির মাধ্যমে এটা সম্ভব।
k7245694 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
অ্যাকিউপ্রেসার নামই তো শুনিনি ! তা ভালো , এটা খায় না মাথায় দেয় ?
না , আপনাকে খেতেও হবে না , মাথায়ও দিতে হবে না। অ্যাকিউপ্রেসার একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি বিশ্বাস করে যে আমাদের শরীরে যত স্নায়ু আছে তার একটা অংশ এসে মিশেছে আমাদের হাতের তলায় ও পায়ের তলায়। শরীরের যে অংশে অসুবিধা , সেই স্নায়ুর উপর আপনি যদি প্রেসার দিয়ে তার কাজকে সচল বা সুস্থ করে তুলতে পারেন তবে যন্ত্রণা নিরাময় হবে।
ও এতক্ষনে নামটা যেন একটু চেনা চেনা লাগছে ? কি যেন ,  কি যেন ,  ও হ্যাঁ , মনে পড়েছে আকুপাংচার। আপনি আকুপাংচারের কথা বলছেন তাহলে ?
হ্যাঁ আমি তার কথা বলছি , আবার বলছিও না। আপনি যার কথা বললেন , আর আমি যার কথা বলছি দুটোরই উদ্দেশ্যটা এক বটে। তবে কাজ করার ধরণটা আলদা।
আকুপাংচারে শরীরের ক্ষতিপ্রাপ্ত ঐ অংশ গুলোতে ছুঁচ ফুটিয়ে ছুঁচের ডগার মাধ্যমে প্রেসার দেওয়া হয়। আকিউপ্রেসারে ছুঁচ না ফুটিয়েই অ্যাকিউপ্রেসারে ব্যবহৃত যন্ত্রের সাহায্যে এই প্রেসার দেওয়া হয়।অবশ্য এই যন্ত্র আপনি নিজেই তৈরী করে নিতে পারবেন যেমন ধরুন পেনসিলের ডগা বা কিছু না পেলে আপনার আঙুলের সাহায্যেও এই কাজটা করতে পারবেন।
কিন্তু আকুপাংচারের  সুঁচ ফোটানোতো অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া অসম্ভব।
মানে দাঁড়াল গিয়ে এই – আকুপাংচার থেকেই অ্যকিউপ্রেসার এসেছে,  তাইতো ?
না ,মোটেই তা  নয় বরং অ্যাকিউপ্রেসার অনেক পুরনো পদ্ধতি। তা থেকেই পরবর্তীতে আকুপাংচার এসেছে।
প্রমাণ আছে কি কিছু এই পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে ?
এই উপমহাদেশেই তিন হাজার বছর পূর্বে এর সূচনা হয়েছিল। চরক-সুশ্রুতের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। সুশ্রুতের রচনায় এর প্রমাণ আছে। আমাদের দেহের মধ্যেই অবস্থিত প্রকৃতির নিজস্ব বিজ্ঞান থেকেই অ্যকিউপ্রেসারের জন্ম। ষোল শতাব্দীতে রেড ইন্ডিয়ানরাও রোগীর হাত-পায়ের তেলোর বিভিন্ন অংশে চাপ দিয়ে রোগ নিরাময় করত।মার্কিন দেশের ডাক্তার উইলিয়ন ফ্রিটজজেরালড প্রমুখ ব্যক্তিরা গবেষণা করে এই চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আধুনিক যুগের আলোয় নিয়ে এসেছেন।সবচেয়ে বড় কথা এর কোন সাইড এফেক্ট নেই।
k2815836 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
আমার মাথা যন্ত্রণা করছিল না কিন্তু এখন আপনার বকবকানি শুনে মাথাযন্ত্রণা শুরু হয়ে গেল ।
বা , তাহলেতো বেশ ভালোই হল । একেবারে হাতে কলমে পরীক্ষা করে নিতে পারবেন ।
দেখুন আমি নিচে হাতের ছবি দিয়েছি।
ScreenShot055 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
যেখানে গোল করা আছে ঐ অংশটা ভালো ভাবে লক্ষ করুন।
এবার আপনার একহাতের বুড়ো আঙুলের সাহায্যে অন্য হাতের ঐ অংশ জুড়ে বারবার প্রেসার দিন।একটু যেন লাগে। কিছুক্ষণ করতে থাকুন।
ScreenShot059 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
এবার হাতটিকে উল্টে নিন ছবির মতো।
ScreenShot058 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
আবার বুড়ো আঙুলের সাহায্যে গোলদাগ দেওয়া জায়গায় প্রেসার দিন।
ScreenShot056 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
এবার এই হাতকে রেস্ট দিন।একই রকম ভাবে অন্যহাতে কিছুক্ষণ করুন।
এবার পায়ের দিকে লক্ষ করুন ।
foot praser point1 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
গোল দাগ দেওয়া জায়গায় হাতের বুড়ো আঙুলের সাহায্যে হাতে যেভাবে প্রেসার দিচ্ছিলেন একই রকম ভাবে প্রেসার দিন। কিছুক্ষণ করতে থাকুন।
এবার অন্যপায়ে করুন। পুরো প্রক্রিয়াটা পুনরায় আরো দু একবার করুন।
আর সবশেষে হাতের গোলদাগ দেওয়া জায়গায় কিছুক্ষণ প্রেসার দিন।
hand kidney জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
এবার পায়ের গোল দাগ দেওয়া জায়গায়
FOOT KIDNEY জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
এর কারণ হল এই পদ্ধতিতে বিশ্বাস করা হয় এই জায়গাটাতেই বৃক্কের স্নায়ু আছে। হাতের  ও পায়ের যে উপাচার করা হল তার ফলে ঐ অংশ থেকে দূষিত পদার্থ বৃক্কে গিয়ে জমা হয়েছে (বৃক্কের কাজও তো আসলে তাই।)।এই প্রেসারের ফলে বৃক্ককে সুস্থ রাখার উপাচার করা হল।
আর হ্যাঁ যদি মনে করেন অম্বল বা অ্যাসিড থেকে হয়েছে তবে একটা আলু থেতো করে রস খেতে পারেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ভালোবোধ করবেন। পাশাপাশি অ্যকিউপ্রেসারটা  চালু রাখুন।(তবে খবরদার , যদি সুগার থাকে তবে কোনোমতেই আলুর রস খাওয়া চলবে না।)
যদি না কমে ?
যদি কমে তবে অ্যকিউপ্রেসারের গুণ ,যদি না কমে তবে মনে মনে একটু গালি দিয়েন আমাকে।তবে চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী? একটু করেই দেখুন না । ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গিয়েছি-মাথা যন্ত্রণা শুরু হবার উপক্রম হচ্ছে বুঝতে পারলে শুরুতেই একটু উন্মুক্ত পরিবেশে হাঁটুন। বাইরের উন্মুক্ত হাওয়া এবং প্রচুর অক্সিজেনের কারণে শুরুতেই আপনার মাথা যন্ত্রণা সেরে যেতে পারে।
k1194746 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০১) :চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
সহায়ক গ্রন্থ :আপনার স্বাস্থ্য আপনারই হাতে : অ্যাকিউপ্রেশার ও অন্যান্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা। (লেখক-দেবেন্দ্র ভোরা )

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
  জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
দাঁতের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই জানেন এর মতো আর কোনো যন্ত্রণায় এত কষ্ট পেতে হয় কিনা ! বাপের নাম ভুলিয়ে দেয় এই দাঁত যন্ত্রণা।
 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
দাঁতের যন্ত্রণা যখন শুরু হয় তখন মনে হয়না কারো সঙ্গে কথা বলি। তখন ভালো কথা বললেও রাগে শরীর জ্বলে যায়। দুপ করে রাগে জ্বলে ওঠে মাথা। আর যিনি এই ভালো কথাগুলো বলতে গিয়ে ধমক খেলেন তিনি ভাবেন -কী এমন খারাপ কথা বললাম যে রেগে গেল ?!
আসলে দোষ তারও না , আপনারও না। দোষ হল গিয়ে দাঁতের
 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
চলুন দেখি দাঁতকে সোজা করা যায় কিনা ! ব্যাটা বড় বাড় বেড়েছে। দাঁড়াও ঠান্ডা করছি তোমাকে।
 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
তার আগে বলে নিই কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করার মনস্থ করেছি। হ্যাঁ গত পর্বের মতো এপর্বেও সাহায্য করবে সেই অ্যাকিউপ্রেসার। বুঝতে পেরেছেন তো ? কি বললেন- মাথায় ঢুকলো না কিছু। আচ্ছা বুঝেছি , আপনি আমার আগের পর্ব পড়েন নি। বেশ তাহলে এখান থেকে পড়ে নিন তাহলে এপর্বটা বুঝতে সুবিধা হবে।
বেশ তাহলে পড়ে নিয়েছেন। তাহলে এপর্বে আর অ্যাকিউপ্রসার নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি দাঁতের ব্যথার নিরাময়ে ঢুকে গেলাম।
দেখুন এই হল আপনার দাঁত।
ddatlt জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

আমি যেভাবে দাঁতের নাম্বারিং করেছি সেটা লক্ষ করুন
মানে হল মুখের একেবারে সামনে  মাঝখানে যে দুটো দাঁত আছে তার একটা আপনার বামপাশে আর একটা ডানপাশে।ডানদিকে আপনার যে দাঁতের সারি এটা তাঁর একনম্বর দাঁত।এরপরেরটা ২ , তার পরেরটা ৩ , তার পরেরটা ৪ ……।এইভাবে গুনতে হবে। বাদিকের দাঁতের সারিও এইভাবেই গুণতে হবে । নিচের পাটির দাঁতও  এইভাবে গুণতে হবে।

এবার নিচে হাতের ছবি দেখুন।
ScreenShot061 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
A= তর্জনী
B=মধ্যমা
C=অনামিকা
D=কণিষ্ঠা
এখন কতগুলি জলের মতো সহজ জিনিস আপনাকে কষ্ট করে মনে রাখতে হবে।
১।বাদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই বাদিকের হাত।
২।ডানদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই ডানদিকের হাত।


১,২ নং দাঁতের জন্যে A বা তর্জনী
,৪ নং দাঁতের জন্যে B=মধ্যমা
৫,৬ নং দাঁতের জন্যে C=অনামিকা
 ৭,৮ নং দাঁতের জন্যে  D=কণিষ্ঠা
সেটা উপরের পাটি বা নিচের পাটির দাঁত যাই হোক না কেন।
ধরুন আপনার কোনো একটি দাঁত যন্ত্রণা করছে আপনি প্রথমে জিভ ( জিহ্বা) দিয়ে গুনে ফেলুন কোন দাঁতটা যন্ত্রণা করছে। ধরুন গুনে দেখলেন আপনার বাদিকের উপরের পাটির  ৩ নং দাঁতটা যন্ত্রণা করছে ।  তাহলে আপনাকে  বাহাতের মধ্যমা , এই আঙুলটাকে এইভাবে ছবির মতো চিপে ধরতে হবে। যাতে একটু লাগে।
presser জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে দেখবেন আপনার দাঁতের যন্ত্রণা কমতে শুরু করেছে । যতক্ষণ আপনি সহ্য করতে পারবেন ততক্ষণ চিপে ধরে থাকুন। বা আপনি যদি না পারেন তবে কাউকে চিপে ধরে রাখতে বলুন আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী। বা আপনি কোনো ক্লিপ নিচের ছবির মতো আঙুলে দিয়ে রাখতে পারেন(তবে এমন কিছু করবেন না যাতে আঙুলে রক্ত জমে যায় বা অন্য কোনো সমস্যা শুরু হয় এবং সবটাই হবে আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী।)
DSC00034 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

ধরুন আপনার ডান দিকের  নিচের চোয়ালের  ৮ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডানহাতের কণিষ্ঠা (D)  আঙুল চিপতে হবে।
DSC00030 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
ধরুন আপনার বাদিকের নিচের চোয়ালের ১ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের তর্জনী (A) আঙুল চিপতে হবে
DSC00033 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
বাদিকের  উপরের চোয়ালের  ৪ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের মধ্যমা (B) আঙুল চিপতে হবে
DSC00032 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
ডানদিকের  উপরের চোয়ালের ৫ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডান হাতের  অনামিকা (C) আঙুল চিপতে হবে
আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
তবে শিরোনামটা ভালোভাবে খেয়াল করবেন আমি বলেছি “দাঁত যন্ত্রণা : ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে”
সেরে যাবে বলিনি।এটা আপনাকে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে আপনাকে কতকগুলো টিপস আমি দিতে পারি
১। দিনে অন্ততঃ তিনবার দাঁত মাজুন। সকালে রাত্রে দুই বার ব্রাশের সাহায্যে। আর দিনের কোনো একটা সময়ে আঙুলের সাহায্যে। আঙুল দিয়ে মাজার ফলে দাঁত ও দাঁতের গোড়ায় মেসেজ হয়ে যাবে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করবে।
২। ব্রাশ দিয়ে মাজার সময় বেশি করে উপর নিচ অনুযায়ী মাজুন। আর্থাৎ উপরের পাটির দাঁত থেকে নিচের পাটির দাঁতের দিকে। এরপর পাশাপাশি মাজুন। এরপর দাঁতের ভিতরের দিকটাও মেজে নিন।
৩। আর এবার যেটা বলব সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ-রাত্রে খাবার পর দাঁতমাজার পরে একগ্লাস গরম জল করে তার মধ্যে আড়াই চামচ মতো লবণ বা যতটুকু আপনি সহ্য করতে পারবেন ততটুকুই লবণ দিয়ে কুলকুচি করে ফেলেদিন।এতে আপনার মুখ ও দাঁত জীবানমুক্ত ও দীর্ঘজীবি হবে। (তবে সাবধান –যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা এটা করতে যাবেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।)

এটুকু বলতে পারি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমি নিজে তো উপকার পেয়েছি এবং অনেককে যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। এখন দেখুন আপনার ক্ষেত্রে কী হয়।
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ঙে থাকু ,রাঙিয়ে রাখুন।
রাগে থাকুন রাগিয়ে রাখুন।

 জ্ঞানপাপীর টুকিটাকি : (পর্ব  ০২) : দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

সহায়ক গ্রন্থ :আপনার স্বাস্থ্য আপনারই হাতে : অ্যাকিউপ্রেশার ও অন্যান্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা। (লেখক-দেবেন্দ্র ভোরা )

ঘাড়, কোমড় ও হাটু ব্যথা রোগীদরে জন্য পরার্মশ

বিভিন্ন কারণে যাদের ঘাড়ে, কোমড়ে ও হাটুতে ব্যথা হয়েছে তারা নিম্নের নিয়মগুলো পালন করবেন-


১. মরেুদন্ড ও ঘাড় বাঁকা করে (নীচু হয়ে) কোন কাজ করবনে না।
২. যে কোন একদিকে কাঁত হয়ে হাতে ভর দিয়ে  শোয়া থেকে উঠবনে।
৩. পিড়া, মোড়ায় না বসে পিঠে সাপোর্ট দিয়ে চেয়ারে বসবেন।
৪. হাটু ভাঁজ করে বসা উচিৎ নয়।
৫. ফোমের বিছানায় (নরম বিছানায়) শোয়া নিষেধ।
৬. চেয়ার-টেবিলে বসে ভাত খেতে হবে।
৭. নির্দেশ মত নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।
৮. উপদেশ মত ফিজিক্যাল থেরাপী নিবেন।
৯. দাঁড়িয়ে রান্না করবেন, প্রয়োজন হলে চেয়ারে বসে রান্না করবেন।
১০. আক্রান্ত স্থানে অল্প গরম পানিতে তোয়ালে ভিজেয়ে শাক দিবেন।
১১. কোন জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তুলবেন।
১২. ঝরণায় অথবা সোজা হয়ে বসে গোসল করবেন।
১৩. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না, শুয়ে টিভি দেখবেন না।
১৪. হাই-হিল যুক্ত জুতা পরবেন না।
১৫. যাত্রার সময় সামনের অথবা মাঝামাঝি আসনে বসুন।
১৬. কলার/করসেট বেল্ট দেয়া হলে তা ভ্রমনের সময় অবশ্যই পরবেন, ঘুমানোর সময় ও ব্যয়াম করার সময় খুলে রাখবেন।
১৭. লেখা পড়া করার জন্য মাইনাস ডেস্ক ব্যবহার করবেন।
১৮. বোতল হাতে ঘার বাঁকা করে পানি পান করবেন না।
১৯. গাল সেভ করার সময় মাথা বাকা না করাই উত্তম।
২০. উঁচু কমোডে বা চেয়ারে ছিদ্র করে বসে পায়খানা করবেন।
২১. দীর্ঘক্ষন ধরে হাটা বা দৌড়ানো ঠিক নয়।
২২. দীর্ঘ সময় যাবত দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকবেন না, মাঝে মাঝে অবস্থান বদলাবেন।
২৩. হাঁটার সময় নির্দেশ মত লাঠি ব্যবহার করবেন।
২৪. শোবার সময় একটি পাতলা নরম বালিশ দ্বারা ঘাড়ে সাপোর্ট দিয়ে ঘুমাবেন।
২৫. শেখানো ব্যয়াম দিনে দুইবার নিয়মানুযায়ী করবেন।
২৬. ব্যথা বেশী থাকা অবস্থায় কোন প্রকার ব্যায়াম করবেন না।
২৭. মোটা ব্যক্তির শরীরের ওজন কমাতে হবে।
২৮. কোন প্রকার মালিশ করবেন না।
২৯. ঝুকিপূর্ণ যানবাহন বা রাস্তা ব্যবহার করবেন না।
৩০. সিড়িতে ওঠার সময় ধীরে ধীরে হাতল ধরে সোজা হয়ে উঠবেন।
এছাড়া চিকিৎসা বিষয়ে আরও জানতে এখানে দেখতে পারেন।

লাইপোসাকশান করুন, আর নায়ক-নায়িকাদের মতো দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখুন চেহারা গ্ল্যামার।

সেলিব্রেটিদের ফিটনেস আমাদের মুগ্ধ না করে পারে না। কিন্তু কিভাবে তারা এই আদর্শ দৈহিক গড়ন অর্জন করেন এবং ধরে রাখেন? ফিটনেসটাই বা কিভাবে দীর্ঘদিন অটুট থাকে? খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনই এর একমাত্র কারণ নাও হতে পারে। দেশে-বিদেশে বহু সেলিব্রেটি নিয়মিতভাবে প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছেন স্রেফ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। লাইপোসাকশনও এক ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করার প্রক্রিয়া হচ্ছে লাইপোসাকশন। কেবল সেলিব্রেটিরা নন, অনেকেই লাইপোসাকশন করাচ্ছেন। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখেরও বেশি লাইপোসাকশন অপারেশন হচ্ছে। বাংলাদেশেও এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইপোসাকশনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।


লাইপোসাকশন কি?
মানুষের শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গা যেমন- মুখমন্ডল, ঘাড়, বাহু, পেট, কোমর, নিতম্ব ও উরুর চামড়ার নিচে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা থাকে। এই মেদ বের করতে পারলে স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। লাইপোসাকশন এইচডিএল কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ফলে হার্ট এটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ইনসুলিন টলারেন্স বাড়ার কারণে সুপ্ত ডায়বেটিক রোগীদের পূর্ণ মাত্রায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কোন অংশে লাইপোসাকশন করতে হবে সেটা আগে থেকেই চিহ্নিত করে নেয়া হয়। এরপর চামড়ার নিচে সরু স্টীলের টিউব প্রবেশ করিয়ে সাকশন টিউব বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে মেদ বের করে আনা হয়। এর আগে আলট্রা সাউন্ড বা রাসায়নিকের মাধ্যমে চর্বি তরল করে নেয়া হয়। সাধারণত লোকাল এনেসথেশিয়ার মাধ্যমেই লাইপোসাকশন করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাইপোসাকশনের পর রোগী একই দিনে বাড়ি ফিরতে পারেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক কাজ শুরু করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বি বের করার ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে ওজন কমানোর জন্য লাইপোসাকশন কোন ভালো ব্যবস্থা নয়। কারো চামড়ায় কোন রোগ থাকলে বা স্থিতিস্থাপকতা কম থাকলে লাইপোসাকশন করা যায় না। অতিরিক্ত স্থূলাকায় রোগীর শরীর থেকে ছয় লিটার পর্যন্ত মেদ বের করে আনতে হতে পারে। এই অতিরিক্ত মেদ বের করার পর সংশ্লিষ্ট জায়াগার চামড়ায় শিথিলতা দেখা দিতে পারে। কিছুটা বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়। এজন্য প্লাস্টিক সার্জারি করে চামড়া ছেঁটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। অপারেশন পরবর্তী সময়ে ফুলে ওঠা ঠেকাতে কয়েকদিন সংশ্লিষ্ট স্থান আঁটসাঁট পোশাকের মাধ্যমে আটকে রাখার প্রয়োজন হতে পারে।

লাইপোসাকশনের কিছুদিন পর আবার চর্বি জমে লাইপোসাকশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এটা ঠেকাতে চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসও থাকা জরুরি। ডায়াবেটিক এবং হৃদরোগীদের লাইপোসাকশনের আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এছাড়া অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন করছেন এমন রোগীদের লাইপোসাকশন করা যায় না।

খরচ
মেদ অপসারণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে লাইপোসাকশনের খরচ নির্ধারিত হয়। এটি এক লাখ থেকে এক লাখ ষাট হাজার পর্যন্ত হতে পারে।

কোথায়?
ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে লাইপোসাকশন করা হয়। এর মধ্যে এপলো হাসপাতাল এবং কসমেটিক সার্জারি সেন্টার অন্যতম।

এপোলো হাসপাতাল:
প্লট ৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
ফোন- ০২-৮৪০১৬৬১
ফ্যাক্স: ০২-৮৪০১৬৭৯, ০২-৮৪০১১৬১, ০২-৮৪০১৬৯১
ই-মেইল: info@apollodhaka.com
ওয়েব সাইট: www.apollodhaka.com

কসমেটিক সার্জারি সেন্টার:
শঙ্কর প্লাজা, ৬ষ্ঠ তলা, ৭২, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯।
ফোন: ৮১৫৩৮০৮, মোবাইল ফোন: ০১৭১১০৪৩৪৩৫
-মেইল: cosmeticsurgerycentreltd@yahoo.com
ওয়েবসাইট: www.cosmeticsurgerybd.com

বাড়তি ওজন কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

বাড়তি ওজন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ওজন কমান প্রাকৃতিক নিয়মে। এ নিয়ম স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝুঁকিবিহীন। কয়েকটি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমান আর ঝুঁকিমুক্ত থাকুন বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে।
তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি হলো কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য, তাই যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের বেশি করে এগুলো খাওয়া উচিত।
 বাড়তি ওজন কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি
 অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
 দুধযুক্ত খাবার, যেমন: পনির, মাখন—এগুলো পরিহার করতে হবে। কারণ, এগুলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। সঙ্গে মাংস ও আমিষজাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
 উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন—চাল, আলু অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে, আর গম (আটা) খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
 তিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি ও করলা খুবই কার্যকর বাড়তি ওজন কমানোর জন্য।
 মসলাজাতীয় খাবার, যেমন: আদা, দারচিনি, কালো মরিচ—এগুলো প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। মসলাজাতীয় খাবার হলো ওজন কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
 ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানোর আরেকটি ভালো উপায় হলো মধু খাওয়া। মধু দেহের অতিরিক্ত জমানো চর্বিকে রক্ত চলাচলে পাঠিয়ে শক্তি উৎপাদন করে, যা ব্যবহূত হয় দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। মধু খাওয়া প্রথমে শুরু করতে পারেন অল্প পরিমাণে, যেমন—এক চামচ বা ১০০ গ্রাম, যা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।
 যাঁরা পথ্য নিয়ন্ত্রণের নিয়ম মেনে চলেন বা দিনের পর দিন উপবাস করেন ওজন কমানোর জন্য, তাঁদের জন্য মধু ও লেবুর রস খুবই উপকারী।
এটি কোনো ধরনের শক্তি ও ক্ষুধা নষ্ট না করে। এ ধরনের চিকিৎসায় এক চামচ টাটকা মধুর সঙ্গে আধা চামচ কাঁচা লেবুর রস আধা গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খেতে হবে।
 বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।

 শারীরিক ব্যায়াম হলো ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। ব্যায়াম শরীরের জমাকৃত ক্যালরি ব্যবহার করতে সাহায্য করে, যা চর্বি হিসেবে জমা থাকে। তা ছাড়া ব্যায়াম পেশির টান কমায় এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। ব্যায়াম শুরু করতে পারেন হাঁটাচলা করে, যা আস্তে আস্তে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও অন্যান্য শারীরিক কসরত করে নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে পারেন।
 পাশাপাশি পথ্য নিয়ন্ত্রণের এ নিয়ম মেনে চলতে পারেন। পরিমাণমতো ভাগ করে প্রতিদিন খাবার খাবেন এবং অবশ্যই যেন প্রতিটি ভাগ অল্প পরিমাণে হয়। প্রতিটি ভাগে যে পরিমাণ ভাত থাকবে, তা যেন কোনোভাবেই এক মুঠের বেশি না হয়। নিয়মিতভাবে ছোট ছোট ভাগে (চার-পাঁচ ঘণ্টা অন্তর) খাবার খেলে আপনার খাবার পরিপাক ও রাসায়নিক রূপান্তর বাড়বে, যা দেহে চর্বির জমাট বাঁধায় বাধা দেবে। সঙ্গে অবশ্যই ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন আপনার বর্ধিত ওজন কমাতে।
খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুন।

খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদান (ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ফ্যাট)

অনেকে খাবারের ক্যালরি লিষ্ট চেয়েছেন তাই আমি যতটুকু পেরেছি দিয়াছি । 
ওজন বাehp health খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদান (ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ফ্যাট)ড়াতে যেসব খাবার বেশি ভূমিকা রাখে, এবং কোন খাবারে কি পরিমান ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ফ্যাট আছে, তার একটা তালিকা দেয়া হলো। তালিকাটি অসম্পূর্ণ।
  • ১ গ্রাম প্রোটিন =  ৪ ক্যালরি
    ১ গ্রাম কার্ব = ৪ ক্যালরি
    ১ গ্রাম ফ্যাট = ৯ ক্যালরি
  • খাদ্য (৩০গ্রাম) পরিমান ক্যালরি প্রোটিন (গ্রাম) কার্ব (গ্রাম) ফ্যাট (গ্রাম)
    চিকেন ব্রেস্ট (চামড়া ছাড়া)
    ৩৫
    গরুর মাংশ
    ৭৫
    চিংড়ি (মাঝারি) ২টি ৩০
    টার্কি ব্রেস্ট
    ২৮
    টুনা ফিশ
    ৩৫
    শ্যামন ফিশ
    ৪০






    ডিমের সাদা অংশ ১টি ১৬
    ডিম ১টি ৭৫
    দুধ (১কাপ) ২৪০মিলি ১৫০ ১২
    টক দই (১কাপ) ২৪০মিলি ১৬০ ১০ ১৪












    তিলের তেল (১ টে.চা) ১৫মি.লি ১২৮ ১৪
    অলিভ ওয়েল
    ১৩২ ১৪
    সূর্যমুখীর তেল
    ১২০ ১৪
    বাদাম ৩০গ্রাম ১৭২ ১৫
    পিনাট বাটার ১৫মি.লি ১০০






    মিষ্টি আলু (মাঝারি) ১টি ১১৫


    গোল আলু ২০০গ্রাম ২২০ ৫১
    লাল চালের ভাত ১/২ কাপ ১০৯ ২৩
    সাদা চালের ভাত ১/২ কাপ ১৩৪ ৩০
    সাদা আটার রুটি ১টি ৭২ ১২
    লাল আটার রুটি ১টি ৬০ ১১
    ডাল ১ কাপ ২৩০ ১৮ ৪০
    ওটমীল ১ কাপ ৭৩ ১৩
    পাস্তা ৩০গ্রাম ১০৫ ২০






    ব্রকলি ১কাপ ২৪ .৫
    ফুলকপি ১কাপ ২৪
    বেগুন ১কাপ ২৭
    শিম ১কাপ ৪৪ ১০
    ঢেঁড়শ ১কাপ ৫০ ১১
    পেঁয়াজ ১কাপ ২৫
    টমেটো (মাঝারি) ১টি ২৫






    সবুজ আপেল ১টি ৮১ ২১
    কলা ১টি ১০৫ ২৭
    আম
    ৭০ ১৭
























  • বিঃদ্রঃ যারা পেশি বাড়াতে চান কিন্তু ফ্যাট বাড়াতে চান না, তারা সাদা ভাত, ময়দা, গোল আলু, যে কোন সুগার জাতীয় খাবার, লবনাক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, মসলা জাতীয় খাবার- এসব এড়িয়ে চলবেন।
  • ভুল হলে ক্ষমা করবেন

“ডায়বেটিস এর আদ্যোপান্ত”

“ডায়বেটিস এর আদ্যোপান্ত”ইন্সুলিনের কার্যপদ্ধতিঃ
আমরা যখন কোন খাদ্য গ্রহণ করি, হজম শেষে তা চিনি/সুগার/গ্লুকোস এ পরিণত হয়। এই চিনি প্রথমে রক্তে পৌছায়, এরপর রক্ত থেকে কোষে কোষে পৌছায়। কোষের ভিতরে এই চিনি থেকে শক্তি উতপাদন হয়। রক্ত থেকে কোষে চিনি পৌছানোর কাজে সাহায্য করে ইন্সুলিন নামক একটি হরমোন। চিনি যখন প্রথমে রক্তে পৌছায় তখন প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের একটি বিশেষ ধরণের কোষ (আইলেট অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্
স) থেকে ইন্সুলিন তৈরী হয়। এই ইন্সুলিন তখন শরীরের প্রতিটা কোষে কোষে যেয়ে রক্তে চিনি থাকার খবর টা পৌছে দেয়। এই খবর পৌছানোর ব্যাপারটাও বেশ মজার। কোষের বহিরাবরনে “রিসেপ্টর” নামক একটি প্রোটিন থাকে। একটু মজা করে বলি, ধরে নিন “রিসেপ্টর” গুলো হলো কোষ নামক বাড়ির জানালার মত। ইন্সুলিন যেন সেই বাড়িতে টোকা দিয়ে বলে, “বাড়িতে কে আছেন? রক্তে অনেক চিনি আছে, বাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন”, এই সিগনালের পরিপ্রেক্ষিতে কোষের গায়ে “গ্লুকোস ট্রান্সপোর্টার (GLUT)” নামক দরজা খুলে যায়। এই দরজা দিয়েই কোষের ভিতর চিনি প্রবেশ করে। এবং তারপর কোষের ভিতর এই চিনি ভেঙ্গে শক্তি উতপাদিন হয়।
395946 408800485843214 531501661 n “ডায়বেটিস এর আদ্যোপান্ত”
ডায়বেটিস এর টাইপঃ
ডায়বেটিস মূলত দুই ধরণের- টাইপ ১ ও টাইপ ২।
>টাইপ ১ ডায়বেটিস হলো বংশগত এবং কম বয়সেই এই রোগটা দেখা দেয়। এই ধরণের ডায়বেটিস এর কারণ হলো অগ্নাশয়েরইন্সুলিন উতপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া। ফলে, শরীরে পর্যাপ্ত ইন্সুলিন তৈরী হয়না। তাই খাওয়ার পরে যখন রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, তা কোষে কোষে ঢুকানোর কোন ব্যবস্থাই শরীরে থাকেনা। ফলে চিনি রক্তেই রয়ে যায়।
>টাইপ ২ ডায়বেটিসে, অগ্নাশয়ও ঠিক থাকে, ইন্সুলিনও তৈরী হয়, কিন্তু কোষে কোষে থাকা “রিসেপ্টর” গুলো কাজ করেনা। ফলে খাওয়ার পরে যখন রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, ইন্সুলিন কোষের “রিসেপ্টর” কে সেই খবর ঠিকই জানায়, কিন্তু “রিসেপ্টর” গুলো তাতে কোন সাড়া দেয়না। ফলে চিনি রক্তেই রয়ে যায়। রিসেপ্টরের এই ধরণের বিকৃতি ধীরে ধীরে ঘটে। তাই টাইপ ২ ডায়বেটিস বেশি বয়সে গিয়ে হয়।
“ডায়বেটিস এর কারণ কি অতিরিক্ত চিনি না অন্য কিছু?”
উপরের আলোচনা থেকে দুই ধরণের ডায়বেটিস এর কারণ ই তো জানলেন, সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়বেটিস হওয়ার সাথে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সম্পর্ক নেই। চিনি খেলে যে ডায়বেটিস হয়না, তা কিন্তু বিজ্ঞানীরা হাতে নাতে প্রমাণ করেছেন। ২০০৩ সালে করা একটি গবেষনায় ৩৯০০০ মধ্যবয়সী মহিলার উপর গবেষনা করে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সাথে ডায়বেটিস হওয়ার কোন সম্পর্ক পাননি (লিংক দেখুন), যদিও কিছু বিজ্ঞানী এখনো চিনি কেই দায়ী মনে করেন এবং প্রমাণের আশায় এখনো গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।অগ্ন্যাশয়ের ইন্সুলিন উতপাদন কারী কোষে গন্ডগোল এবং “রিসেপ্টর” এ গন্ডগোল দুটো হওয়ার পিছনেই ভূমিকা রাখে বংশগত কারণ। তবে হ্যা, অতিরিক্ত চিনি খেলে আপনার ওজন বাড়বে। আর অতিরিক্ত ওজন দুই ধরণের ডায়বেটিস ঘটাতেই সহায়ক ভূমিকা রাখে। শরীরে ফ্যাট সেল বেড়ে গেলে, ফ্যাট সেল গুলো থেকে এমন কিছু পদার্থ বের হয় যা রিসেপ্টর গুলোর কার্যকারীতা কমিয়ে দিয়ে টাইপ ২ ডায়বেটিস তৈরী করে। ফলে শরীরে ইন্সুলিন তৈরী হলেও কোষে চিনি ঢুকার দরজাটি আর খুলেনা। শরীর কি সমস্যা হলো বুঝতে না পেরে, আরো বেশি বেশি ইন্সুলিন তৈরী করতে চেষ্টা করে। ফলে অগ্ন্যাশয়ের ইন্সুলিন উতপাদনকারী কোষ গুলোও আস্তে আস্তে ড্যামেজ হয়ে, টাইপ ২ এর পাশাপাশি টাইপ ১ ডায়বেটিস এর ও সূচনা ঘটায়।
ডায়বেটিস এর লক্ষনঃ
রক্তে অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলেই রোগীর মধ্যে ডায়বেটিস এর লক্ষন গুলো দেখা যায়। ডায়বেটিস এর লক্ষন মূলত তিনটি p- polyuria(ঘন ঘন মুত্রত্যাগ),polydipsia (পিপাসা) এবং polyphagia(ক্ষুধা), কিডনীর সাহায্যে মূত্রের মাধ্যমে রক্তের অতিরিক্ত চিনি বের করে দেয়ার প্রয়োজনেই ঘন ঘন মূত্র তৈরী হয়। ঘন ঘন মূত্রের পরে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়াতে তৃষনা ও বেশি পায়।আর কোষ গুলোতে চিনি ঢুকতে না পারার কারনে কোষে কোষে কম শক্তি উতপাদন হয়ে, শরীরের শক্তির ঘাটতি মেটাতে মস্তিষ্ক ক্ষুদার অনুভূতি তৈরী করে, যাতে মানুষটি শক্তি ঘাটতি মেটাতে আরো খাদ্য গ্রহণ করে।
ডায়বেটিস এর ক্ষতিকর প্রভাবঃ
ডায়বেটিস এর লক্ষন গুলো তো জানলাম, এখন জানি এর ফলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়। রক্তের অতিরিক্ত চিনি চোখের রেটিনার রক্তনালী কে ক্ষতিগ্রস্ত করে দৃষ্টিশক্তি ব্যহত করে, ব্রেনের রক্ত সরবরাহকারী নালীর পুরত্ব বৃদ্ধি করে ব্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়, কিডনীর নেফ্রনের পুরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে কিডনীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যে কোন ধরণের ঘা কে শুকাতে বিলম্ব ঘটায়। তাছাড়াও হার্টের রোগ ও স্ট্রোকেও ডায়বেটিস সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ডায়বেটিস প্রতিরোধঃ
ডায়বেটিস মূলত বংশগত রোগ, তাই জেনেটিক ফ্যাকটর টা প্রতিরোধ করা আমাদের পক্ষা সম্ভব না। তবে অতিরিক্ত ওজন, আলস্যপূর্ণ জীবন যাপন, খাদ্যাভাস, অপ্রতুল ব্যায়াম, ধূমপান-ইত্যাদি যেহেতু ডায়বেটিস কে ত্বরানিত করে, এসবের ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
http://care.diabetesjournals.org/

মধু সম্পর্কে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আসসালামু-আলাইকুমঃ কেমন আছেন সবাই , আশা করি সবাই ভাল আছ, ভাল থাক, সুন্দর থাক, স্বুস্থ থাক , নিরাপদে থাক এটাই আমি সব সময় প্রত্যাশা করি, আপনাদের সর্ব সাফল্য আমি একান্ত ভাবেই কামনা করি , আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে শুরু করা যাক, আমরা জানার চেষ্টা করব এখন মধুর উপকারিতা কি ?
0000
১) মধুর উপকারিতাঃ-
বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক ইবনে সিনা তাঁর বিশ্বখ্যাত- Medical Test book The canon of medicine গ্রন্হে বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মধু ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন। তিনি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, মধু আপনাকে সুখী করে, পরিপাকে সহায়তা করে, ঠাণ্ডার উপশম করে, ক্ষুধা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও তীক্ষ্ম করে, জিহ্বা স্পষ্ট করে এবং যৌবন রক্ষা করে। নিম্নে মধুর কয়েকটি উপকারিতা পত্রস্থ করা হলো।
মধু সর্দি, কাশি, জ্বর, হাপানি, হৃদরোগ, পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে। এছাড়া মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য।
- মধুতে বিভিন্ন সূক্ষ্ম পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
- মৌমাছি ফুলের পরাগায়নে সাহায্য করে শস্য উৎপাদন বাড়ায়।
- মৌচাক থেকে যে মোম পাওয়া যায় তা বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য যেমন- লোশন, সাবান, কৃম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
- রূপচর্চার বিভিন্ন কাজে মধু ব্যবহার করা হয়।
- দাঁত ও ত্বকের সাধারণ অসুখ-বিসুখ হতে শুরু করে হৃৎযন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, কোলেস্টরনের আধিক্য প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে মধু সত্যই এক মহৌষধ।
২) খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যঃ-
- খাঁটি মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকে না।
- মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোনো বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার প্রভাব মধুতে থাকে না।
- মধু সংরক্ষণে কোনো পৃজারভেটিভ ব্যবহৃত হয় না। কারণ মধু নিজেই পৃজারভেটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্য।
- মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ ও বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনো পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না।
- খাটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়।
৩) খাঁটি মধুর সহজ পরীক্ষাঃ-
স্বচ্ছ কাচের গ্লাসের পানিতে খাটি মধু ঢেলে দিলে সহজে পানির সঙ্গে না মিশে গ্লাসের তলায় তলানি হিসেবে বসে থাকে। এ অবস্থা দুই-তিন ঘণ্টা স্থায়ী থাকে। কারণ মধুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে চার-পাচ গুণ ভারি। আর যদি ভেজাল হয় তবে সহজে পানির সঙ্গে মিশে যাবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা:

কুকুর বা অন্য জন্তুর কামড়ের পর করণীয়
১। প্রচুর পানি ও ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে ক্ষতস্থানটি ধুয়ে ফেলুন।
২। অ্যান্টিসেপকি বা পভিডন/হাইড্রোজেন পার আয়োডিন লাগিয়ে দিন।
৩। ক্ষতস্থানটি ঢাকবেন না।
৪। ক্ষতস্থানে হলুদ গুড়া, বাম, পিতলের থালা, চুন, ভেষজ, ঝাল ইত্যাদি কিছুই লাগাবেন না এবং করা পড়া খাওয়াবেন না। কারণ তাতে কোন ও লাভ হয় না বরং ক্ষতস্থানের আর ক্ষতি হয়।
৫। ক্ষতস্থানে যাকা লাগাবেন না বা পোড়াবেন না।
৬। মাদুলি অথবা জাদুটোনায় ভরসা করবেন না।
৭। যতদ্রুত সম্ভব রোগীকে ডাক্তার, ক্লিনিক বা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।

উচ্চ রক্তচাপ কি?

রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় রক্তনালীর গায়ে রক্ত যে প্রয়োগ করে সেটাকেই রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ মাপার সময় আমরা দুধরণের রক্তচাপ পেয়ে থাকি- সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। কারো রক্তচাপ বয়স এবং পুরুষ/মহিলা ভেদে সার্বাজনীনভাবে স্বীকৃত স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি পাওয়া গেলে তখন উক্ত রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়।

পুড়ে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা

পুড়ে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা:
পুড়ে যাওয়া সাধারণত তিন ধরনের
১ম ডিগ্রী: তাপ লেগে চামড়া লাল হয়ে যায়। কোনো ফোস্কা পড়ে না।
২য় ডিগ্রী: চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে।
৩য় ডিগ্রী: পুড়ে যাওয়ার গভীরতা চামড়া ভেদ করে মাংস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
পুড়ে যাওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা
রোগীকে দ্রুত আগুনের উৎস থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
* পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে মোটা কাপড় বা কম্বল দিয়ে রোগীকে জড়িয়ে ধরতে হবে। এবং মাটিতে শুয়ে গড়াতে হবে। এতে আগুন নিভে যাবে।
* শরীরের যে অঙ্গ পুড়ছে সেখানে পানি ঢালতে হবে। ;
* ১ম ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পানি ঢাললেই হবে, আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। পানি ঢালতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট।
* ২য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে পানি ঢালতে হবে, ১-২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ফোস্কা গরানোর দরকার নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* ৩য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত। হাপাতালে নেওয়ার পূর্বে পোড়া স্থানে পানি ঢালতে হবে।

এবং……………


একা থাকা অবস্থায় হার্ট এ্যাটাক হলে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে?
মেদ কমাবেন কিভাবে?
হাতের তালু ঘেমে যাওয়া রোধ করবেন কিভাবে?
জানতে চাইলে ঘুড়ে আসুন এই পেজ হতে।
157935 186823884763771 399262891 n একটি স্বাস্হ্য বিষয়ক টিপস পেজ।
Doctors & Hospital

স্বাস্হ্য সচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্হ্য বিষয়ক টিপস বাংলাদেশের সাবার কাছে পৌছে দিতে চাই আমরা। আমাদের সহায়তা করুন পেজ এ লাইক দিয়ে।

আমাদের ছোট খাটো অসুখে প্রায় পরতে হয় যার ফলে ডাক্তার খানা যেতে হয় হ্যাঁ বেশি কিছু হলে অবশ্যই যেতে হবে কিন্তু ছোট খাটো অসুখে আমরা গুরুজনদের টোটকা তে সুস্থ হতে পারি।যেমন – দাঁত ব্যথা বা যন্ত্রনাtooth pain ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস -পিটুলি বা ভেটুল পাতা ৮-১০ নিন ছোট কাপের ২ কাপ পানি তে কিছুক্ষন সেদ্ধকরে ঐ পানিটা ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে একটু একটু করে নিয়ে ১ঘন্টা অন্তর ভালো করে কুলকুচি করুন। আমশাconstipation ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস-পাঁকা দেশী মানে ঠুটে কলা আর পুরোনো পাঁকা তেতুল ও টক দই এক সাথে ভালো করে মেশান ঐ মিশ্রন টা দিনে বেশ কয়বার খান। কাশি হলে বা শ্লেষা জমলে Ayurvedic Treatment for Cough3 ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস-বাসক পাতা ৩ -৫ নিন ছোট কাপের ২ কাপ পানি তে কিছুক্ষন সেদ্ধকরে ঐ পানিটা ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে একটু একটু করে নিয়ে পান করুন। আগুনে অল্প পুরে গেলে 6a00d8341c3eb053ef00e54f85dc098834 800wi ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস-ঠান্ডা কাঁচা দুধ দিন ।হালকা মাথা যন্ত্রনাmigraine1 ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস-রসুনের কোয়া থেকে রস বার করে নাকে টানুন।গ্যাস অম্বলDo not underestimate Stomach Acid Can Trigger Cancer ছোট খাটো চিকিৎসা যে গুলো বই থেকে নেওয়া নয় গুরুজনদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি আর সাথে পান একটি কাজের জিনিস-কয়েকটা আদার কুচি সাথে অল্প একটু লবন মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ১গ্লাস পানি খান।কাঁচা জোয়ান ও এই ভাবে খেতে পারেন।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অল্প খানিকটা কালো জিরা ভিজানো পানি ছেঁকে খেতে পারলে উপকার পাবেন।কিন্তু বেশি কিছু হলে সময় নষ্ট না করে অবশ্যই ভালো ডাক্তার দেখাবেন ।আর কাজের জিনিস টা নিন -Advanced SystemCare এর নতূন ভারসনের চাবি- CC52B-28CB1-DAF12-A96D6